আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ সংবাদ প্রকাশের পরে অভিযুক্ত উপজেলার বন বিভাগের বাগান মালি দেলোয়ার হোসেন বেপারী ঘটনাস্থলে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছেন। ঘটনা তদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন আগৈলঝাড়ায় আসেন বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম। তিনি ঘটনাস্থল গিয়ে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর সেরাল গ্রামে গাছের মালিক রেজাউল শিকদারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান।
বিভিন্ন অনিয়ম—দুর্নীতির কারণে উপজেলা বন কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারীকে বদলি করা হয়েছে। আগৈলঝাড়ায় নতুন কর্মকর্তা হিসেবে নুর মোহাম্মদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাগান মালি দেলোয়ার হোসেন বেপারী স্থানীয় হওয়ায় আগৈলঝাড়ায় যে বন কর্মকর্তাই আসে তার সাথে সখ্য়তা গড়ে তুলে অপকর্ম করেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এব্যাপারে বনবিভাগের রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা বন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা বন কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারীকে বদলি করে নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গাছ কাটার স্থান পরিদর্শন করে রেজাউলের সাথে কথা বলেছেন তিনি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আগৈলঝাড়ায় এসে বাগান মালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। উল্লেখ্য, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর সেরাল গ্রামের নুর মোহাম্মদ শিকদারের ছেলে রেজাউল শিকদার দাসেরহাট—সেরাল সড়কের পাশ থেকে একটি রেন্ট্রি গাছ কাটতে শুরু করেন।
পরে উপজেলা বন কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারী জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। পরে বন কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারী ও বাগান মালি দেলোয়ার হোসেন বেপারী গাছ মালিক রেজাউলের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে ওই গাছ দ্রুত কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। তাদের সিদ্ধান্ত পেয়ে রেজাউল শিকদার সড়কের পাশ থেকে গাছ কেটে নেয়। স্বপন কুমার অধিকারী ও বাগান মালি দেলোয়ার হোসেন ব্যাপারী স্থানীয় হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে টাকার বিনিময়ে বন বিভাগের গাছ কাটার কাজে সহযোগিতা করে আসছেন।