পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৬৫ হাজার ইয়াবা ও নগদ ২লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ ৮ মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে উপজেলার নিশান বাড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকায় এ অভিযান চালায় র্যাব। আটক ৮ জনের মধ্য হাসিনা বেগম নামের এক রোহিঙ্গা নারী রয়েছেন। তার বাড়ি মিয়ানমার এলাকায় বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। নিজের ইয়াবা ব্যবসার সুবিধার্থে ওই এলাকার বাবুল মৃধা তাকে বিয়ে করেন। আটকদের মধ্যে অন্যরা হলেন- মো. ইউসুফ আলী, মো. সালাম, মো. নূর আল, মো. ইউছুফ, শাহজাদা, মো. জামাল।
র্যাব পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় চিহ্নিত ব্যবসায়ী বাবুল মৃধা তার স্ত্রী ও সহযোগীদের আটক করা হয়। পরে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের দেয়া তথ্যে একটি মাছ ধরা ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ৬৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আরো নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও মাদক ব্যবসার কাজে ব্যাবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান- বাবুল মৃধা ও হাসিনা বেগম পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে মাছ ধরার ট্রলার ব্যবহার করে বড় বড় ইয়াবা চালান নিয়ে আসেন এবং পটুয়াখালীতে সরবরাহ করে থাকে। আসামি বাবুল মৃধার বিরুদ্ধে চাঁদপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানায় প্রায় অর্ধ ডজন মাদক মামলা রয়েছে। আটককৃত আসমিদেরকে উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
এদিকে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসিনা জানান- তার বাড়ি মিয়ানমারে। তিনি কক্সবাজার থেকে পটুয়াখালীতে অবস্থান করে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া এক ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা ও পটুয়াখালী নির্বাচন কার্যালয়কে আর্থিক সুবিদা দিয়ে পরিচয়পত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন হাসিনা।