বরিশালের উজিরপুর মডেল থানার ওসি কর্তৃক অসহায় বৃদ্ধাকে নির্যাতনের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বরিশাল পুলিশ সুপার। তদন্তে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় গত শনিবার পুলিশ কনস্টেবল জাহিদুল ইসলামকে উজিরপুর থানা থেকে ক্লোজড করে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করেছে ওসির শিশির কুমার পালের সিদ্বান্ত। এদিকে ওসি শিশির কুমার পাল নিজেকে রক্ষায় অনুগত সাংবাদিকদের ব্যবহার করে একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি অনুগত সাংবাদিকদের দিয়ে তার পক্ষে সাফাই গাওয়া নিউজ করার মিশন নিয়ে রোববার মাঠে নামেন। এ মিশনে ব্যর্থ হয়ে গতকাল সোমবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নির্যাতিতা বৃদ্ধার সাক্ষাতকার গ্রহনকারী দৈনিক নয়া দিগন্তের উজিরপুর উপজেলা সংবাদদাতা মো: জহির খানের বিরুদ্ধে ওসি শিশির কুমার পাল তার অনুগত সাংবাদিক দিয়ে গতকাল সোমবার থানায় একটি সাধারন ডায়রী করিয়েছেন। ডায়রীতে দাবি করেন, প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গুটি কয়েক পত্রিকায় কুরুচিপূর্ন সংবাদ প্রকাশ করায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করেছে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক জহির খান বলেন, আমি একজন দায়িত্বশীল সংবাদকর্মী হিসেবে অসহায়ের কথা তুলে ধরেছি এবং পরবর্তীতে তার ব্যাপক প্রচার হলে পুলিশের টনক নড়ে। কাউকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্যে নয়। ওসি শিশির কুমার পাল আমাকে জব্দ করতে তার অনুগত কথিত সাংবাদিককে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক জিডি করিয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সাংবাদিক জহির আরও জানায়, প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে ওসির বৈঠকের যে ছবিটি কথা সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ করা হয়েছে সেই ছবিটি সংবাদ প্রকাশের আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিলো। সেটি সংগ্রহ করে আমি শুধু ব্যবহার করেছি।