উজিরপুরে অধ্যক্ষর অপসারণ দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অবশ্যই পরুন

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর সরকারি শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল মাহমুদ আউয়ালের নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে কলেজের মূল ফটকের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এক বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছেন।

এছাড়া কলেজটিতে চলমান ডিগ্রি ২য় বর্ষের ফরম পূরনে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ৮৫০ টাকা পরিবর্তে শিক্ষার্থী প্রতি ৩ হাজার ৫শত ২০টাকা হারে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন। অধ্যক্ষর নির্ধারিত ফি দিতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীরা ঔদ্ধত্যপূর্ন আচরনের শিকার হয়েছেন। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ডিগ্রি ২য় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শিক্ষার্থীদের সুবিধার বিষয়ে অধ্যক্ষর কোনো প্রকার মাথা ব্যথা নেই। তিনি কলেজে সেচ্ছাচারিতার রাজত্ব কায়েম করে চলছেন এবং প্রায়ই ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। তারা আরও জানান, অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম তাদের ফরম পূরণে মাত্রাতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। তাছাড়া তাদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী দারিদ্র পরিবারের জানালে অধ্যক্ষ তৌহিদুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সকল দারিদ্র শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কুরুচিপূর্ন কথা বলেন।

তাই অচিরেই দূর্নীতিবাজ এই অধ্যক্ষর অপসারণের দাবী জানান শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি শাকিল মাহমুদ আউয়াল বলেন, অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলামের অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সঠিক। তাছাড়া অধ্যক্ষ প্রায়ই ছাত্রীদের সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। আমরা কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও এই দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষর অপসারণের দাবী জানাচ্ছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজটির একাধিক শিক্ষকরা বলেন, অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কলেজের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে আসছে। পাশাপাশি কথায় কথায় শিক্ষকদের শোকজ এবং বেতন কর্তনের হুমকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে সরকারি শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: তৌহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ন আচরনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘বোর্ড নির্ধারিত ফি ৮৫০ টাকা এটা সঠিক। তবে কলেজের আসবাবপত্র ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করতে কলেজ স্টাফ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে।’

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

পিরোজপুর অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদের উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

পিরোজপুর অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদের উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ। আজ মঙ্গলবার সকালে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদ পিরোজপুর...