বরিশালের উজিরপুরে চুরির প্রস্তুতিকালে ২জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। অপর একজন চোরকে চিনে ফেলায় এক দিনমজুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় চোর আতঙ্কে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের সানুহার গ্রামের মাওঃ রুহুল আমিন হাওলাদার প্রতিদিনের মত বামরাইল বন্দরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিল।
ভবনের মধ্যে অসুস্থ্য স্ত্রী ও সন্তানরা ছিল। ২৮মে রাত ৯টায় একই এলাকার টিপু আকনের ছেলে রাকিব আকন(২২), মোজাম্মেল আকনের ছেলে শাওন আকন(১৮), মোসলেম খলিফার ছেলে শাকিল খলিফা(২০) সহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাত চোরচক্ররা মিলে ভবনের দরজা খোলা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে রুমের ভিতর প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয় কিছুক্ষন পরে মাওঃ রুহুল আমিন হাওলাদার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ করে বাড়ীতে এসে ভবনের পাশে অন্ধকারে একজনকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে চোর সন্দেহ হওয়ায় ডাকচিৎকার করে।
তার ডাকচিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে জেগে ওঠে ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এ সময় পাশ্ববর্তী জাহাঙ্গীর মৃধার ছেলে দীনমজুর এনামুল মৃধা(৩২) রাকিবকে চিনে ফেলে এবং তাকে ধরার জন্য ধাওয়া করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে সে পালিয়ে যায়।
এরই মধ্যে রুমের ভিতর লুকিয়ে থাকা আরো দু’জন চোরকে ধরে ফেলেছে স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে চোরের সাফাই গাইতে গিয়ে শাওনের পিতা মোজাম্মেল আকন জনগণের রোষানলে পরে এবং এলাকাবাসি তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতকে উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উজিরপুর মডেল থানার এস,আই মাহাবুব হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মাওলানা রুহুল আমিন হাওলাদার বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় রাকিব, শাওন, শাকিলসহ ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও শত শত স্থানীয় ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের জানিয়েছে রাকিব. শাওন, শাকিল এলাকায় মাদক ব্যবসা, জুয়া, নারী কেলেঙ্কারী, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে।
বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ সহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা সাধারনরা।
তারা যেন এলাকার এক মুর্তীয়মান আতঙ্ক। এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার এস,আই মাহাবুব হোসেন জানান চোরচক্রের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শাওন ও শাকিলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
বাকী আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক জড়িত সকল চোরচক্রের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।