উজিরপুর প্রতিনিধিঃ মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিলের ৮৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার স্মৃতিফলকে পুষ্প মাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় বরিশালের উজিরপুর মেজর এম এ জলিলের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা এবং মেজর এম এ জলিল পরিষদ। সকাল ১০ টায় উজিরপুর মেজর এম এ জলিল নুরানি ও হাফেজি মাদ্রাসায় এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশালের সাবেক সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালক ও মেজর এম এ জলিলের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ আব্দুর রহিম সিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিলের জ্যেষ্ঠ কন্যা ব্যারিস্টার সারাহ্ জলিল।
মোঃ আলী হোসেন সিকদার রূপকের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মাজেদ তালুকদার (মান্নান মাস্টার), উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম খান,
সদস্য সচিব মোঃ রোকনুজ্জামান টুলু, যুগ্ম আহ্বায়ক হেমায়েত উদ্দিন খলিফা, সাবেক কাউন্সিলর আঃ হাকিম সিকদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম জাকারিয়া মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন, আলমগির হোসেন হাওলাদার, আয়নাল হক, মোঃ হাবিবুর রহমান, গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ জহির উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা মোঃ মামুন সিকদার,
উজিরপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আঃ রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান মাসুম, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ সোহাগ হাওলাদার, মোঃ আহাদ সুমন, মেজর এম এ জলিল মাদ্রাসার শিক্ষক আঃ হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিল বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ সেক্টর বরিশাল,পটুয়াখালী, খুলনা,মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও যশোরের কিছু অংশ নিয়ে নবম সেক্টর।
সেই সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তিনি। যার অধীনে ৮০ হাজার মুক্তি বাহিনী কাজ করতো। তাকেই শেখ মুজিবুর রহমান ও ফেসিস্ট আওয়ামী লীগ কোনো সম্মাননা না দিয়ে জেলে নিক্ষেপ করেছিল। তাকে মরোনোত্তর খেতাব সহ তার নামে বরিশাল সেনানিবাস ও বিমানবন্দর নামকরণের দাবি জানান।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ) ও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।তিনি শেষ বয়সে মাওলানা হাফেজ্জী হুজুরের বাইয়াত গ্রহণ করে সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদে যোগ দেন।তিনি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সিকদার পাড়া গ্রামে মামা বাড়িতে ১৯৪২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করেন এবং মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালের ১৯ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে মৃত্যু বরন করেন।
মৃত্যুর পরে তাকে পাকিস্তান থেকে ঢাকা মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।