উজিরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

অবশ্যই পরুন

বরিশালের উজিরপুর পৌর এলাকার রসুলাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বার্ষিক শিক্ষা উপকরন ক্রয়ের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্য ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের বিদ্যুতসাহী সদস্য মাসুদা বেগম, সদস্য জাকির ঢালী, গিয়াস উদ্দিন ও রিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর সরকারিভাবে বিদ্যালয়ে বার্ষিক শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও একই পরিমান টাকা বরাদ্দ আসলে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়।

এছাড়া বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা উঠিয়ে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে রাখা হয়। সবমিলিয়ে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে মোট ৫০ হাজার টাকা জমা ছিলো। সেই টাকা গত বছরের ১লা জুলাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন আবু ও প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার ম্যানেজিং কমিটির কোনো সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে উত্তোলন করেন। এমনকি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষা উপকরণ কিংবা সংস্কার না করে পুরো টাকা তাঁরা আত্মসাত করে। বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আ: ছত্তার হাওলাদার ও স্থানীয় কাউন্সিলর মো: কাইউম খান জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাউকে না ডেকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকা একটি গোপন রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয় তহবিলের ৪৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে। তারা আরও জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ে থাকার কারনে তিনি একের পর এক অনিয়ম-দূর্নিতী করে আসছেন। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন আবু বলেন, প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন এটা সত্য।

তবে তিনি বিদ্যালয়ের কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করেছেন সেটা আমার জানা নেই। এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বিদ্যালয় তহবিলের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করলেও আত্মসাতের অভিযোগটি পুরোপুরি অস্বীকার করে বলেন- ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ডাকা হলেও তারা সভায় আসতে চাননা। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনুমতিক্রমে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে ৩৮ হাজার টাকার মত খরচ করা হয়েছে। এছাড়াও বাকি টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই না পেলেও বিক্রি হচ্ছে নীলক্ষেতে

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম থেকে নবম-দশম শ্রেণির সব পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে এখনও সরবরাহ করতে পারেনি সরকার। এবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া...