অবশেষে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রামের সেই কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) গভীর রাতে ধর্ষিতা কিশোরীর মা হোসনেয়ারা বেগম বাদি হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে ধর্ষক রাকিব গাজী (১৮) ও তার মা মাকসুদা বেগমকে (৪০) আসামী করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বান্না গ্রামের ওই কিশোরীকে মায়ের অনুপুস্থিতিতে কৌশলে নিজেদের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে একই বাড়ির জাফর গাজীর ছেলে রাকিব গাজী। এক পর্যায়ে কিশোরী ব্যথায় ও রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাকিব সটকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর রাকিবের মা মাকসুদা বেগম ঘরে ফিরে ওই কিশোরীকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি কিশোরীর জ্ঞান ফেরানোর জন্য চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কিশোরীকে খুঁজতে তার মা রাকিবের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ধর্ষক রাকিবের মায়ের সহযোগীতায় কিশোরীকে প্রথমে বানারীপাড়া হাসপাতালে পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপরই গুঠিয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ডের বান্না গ্রামের ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার বিষয়টি ধাঁমাচাপা দিতে মিমাংসার চেষ্টা চালায়। প্রাথমিকভাবে মিমাংসা না করতে পারায় ইউপি সদস্য হানিফ ধর্ষক রাকিবকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন। সেই সাথে ওই কিশোরীর পরিবারকে থানায় মামলা না করার জন্য ইউপি সদস্য হানিফ হুমকি-ধামকি দিয়েছিলো। এমনকি ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবারকে ওই ইউপি সদস্য বলছিলো, ‘মামলা করে কি হবে? তার চেয়ে মেয়েকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে আসো আমি মিমাংসা করে দিবো।’ উজিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।’