বরিশালের উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১১ দিনে ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচ জন রোগী এ উপজেলায় আক্রান্ত হলেও বাকিরা পাশ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। শনিবার (১০ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, হাসপাতালে জায়গা স্বল্পতার কারনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য কোনো কর্নার করা হয়নি। সাধারন রোগীদের ওয়ার্ডেই ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৫ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের গড়িয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সুজন (২২), গাববাড়ি গ্রামের সেলিম সিকদারের ছেলে লিমন (২১) ও পৌর সদরের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জাকির (১৯)সহ মোট ৫জন এ উপজেলায় থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সকলেই প্রথমে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে জ্বরের ধরন ও অন্যান্য উপসর্গ দেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চিকিৎসকেরা ডেঙ্গুর বিষয়টি নিশ্চিত হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৩১ জুলাই প্রথম এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামের সবুজ (২৮) নামের এক যুবক ভর্তি হয়। সে ঢাকা থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এসেছে। এরপর গত ২ জুলাই উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়নের গড়িয়া গ্রামের সুজন (২২) নামের এক যুবক নিজ বাড়িতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে গত ৩ জুলাই বাবুগঞ্জ উপজেলার ভুতুরদিয়া গ্রামের সৈকত (১৮) এবং ৫ জুলাই রাকুদিয়া গ্রামের রাকিব হোসেন (২১) ভর্তি হয়। তারা দু’জনেই ঢাকায় থাকাকালীন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। গত ৬ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে উজিরপুর পৌর সদরের জাকির, গাববাড়ি গ্রামের লিমন, বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামের রিফাত, ভুতুরদিয়া গ্রামের মামুন ও মানিককাঠী গ্রামের হাফিজা বেগম উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ৭ ও ৯ আগস্ট আরও ৬জন ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে মোট ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমানে ১৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন এবং দুই জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাকসুদুর রহমান জানান, ‘স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি এবং প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখানে যে পরিমাণ কিট দেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। আরও কিট প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ভালো চিকিৎসা চলছে। উজিরপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগী মারা যায়নি। তাছাড়া ডেঙ্গু শনাক্তে কোনো রোগীকে নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়।’ (