বরিশালের উজিরপুরে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে ৬ মাসের অন্তসত্তা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১৩ই মে বুধবার নাবালিকা ছাত্রীর মাতা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ধর্ষক আগুন বালী(২১) এর বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায় উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের ইদ্রিছ বালীর ছেলে লম্পট আগুন বালী একই বাড়ীর ফজলুল হক বালীর মেয়ে কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। এ সুবাদে ওই লম্পটের লোলুপ দৃষ্টি পরে ওই ছাত্রীর উপর। এছাড়া বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে অশ্লিল ভিডিও পাঠায় ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে ছাত্রী রাজী না হওয়ায় লম্পট নয়া কৌশল অবলম্বন করে বিয়ের প্রলোভন দেখাতে থাকে।
৭ মাস পূর্বে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ছাত্রীর পিতা-মাতা বাড়ীতে না থাকায় প্রথমে পানি খাওয়ার কথা বলে তাদের বসত ঘরে ঢুকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেছে। এরপর ছাত্রী তাদের বিয়ের কথা বললেই লম্পট তালবাহানা শুরু করে এবং ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য ছাত্রীর সাথে কিছুদিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এদিকে ছাত্রীর শরীরের অবস্থার অবনতি দেখে মা আকলিমা বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে ছাত্রী ওই লম্পট যুবকের অসৎ উদ্দেশ্য কিছুটা বুঝতে পেরেছিল তাই সবকিছুই মায়ের কাছে অকপটে স্বীকার করে ।
বিষয়টি জানার পর ছাত্রীর পরিবার অসহায় হয়ে পরে। কোন উপায়ন্তু না পেয়ে অসহায় ছাত্রীর পরিবার উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। উজিরপুর মডেল থানার এস,আই মাহাবুব হোসেন অভিযুক্ত ধর্ষক আগুন বালীকে তার বাড়ী থেকে ১৩ মে বুধবার গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
১৪ মে ধর্ষককে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান জানান এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করে বরিশাল জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ছাত্রীকে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধীর জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়। দেশে আর কোন নারীর ইজ্জত হানী না ঘটে তাই ধর্ষক আগুন বালীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন অসহায় ছাত্রীর পরিবার।