করোনা দুর্যোগে বরিশালে মানুষের পাশে থাকবে ২০টি সংগঠন

অবশ্যই পরুন

করোনা মোকাবেলায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও নাগরিকদের সচেতন করাসহ ত্রাণ কাজে সহযোগিতার জন্য প্রশাসনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বরিশালের ২০টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন তারা। সভায় বরিশালের খেয়ালী গ্রুপ থিয়েটার, জাতীয় কবিতা পরিষদ, চারণ সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, লাল-সবুজ সোসাইটি, চারুকলা বরিশাল, বরিশাল ব্লাড ডোনার ক্লাবের প্রতিনিধি, শিল্পপতি বিজয় কৃষ্ণ দে, রাজনীতিক ডা. মনিষা চক্রবর্তী ও অ্যাডভোকেট হিরণ কুমার দাস মিঠুসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বরিশাল ডট নিউজকে বলেন- ‘‘করোনা মেকাবেলায় ত্রাণ দেওয়াই একমাত্র কাজ নয়। সরকার ত্রাণ নিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। এখন দরকার মানুষের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিশ্চয়তা। করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে জনগণ এখনও সচেতন নয়। অথচ প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের কীভাবে হাসপাতালে নেওয়া যায়, চিকিৎসায় সহযোগিতা দেওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

‘একই সঙ্গে পাড়া-মহল্লায় লকডাউন মানতে সতর্ক ও সচেতন করা দরকার। সেই কাজে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর এগিয়ে আসা দরকার।”

জেলা প্রশাসক আরও বলেন- ‘ত্রাণসহ সব কাজে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা উচিত। এসব কাজে জেলা প্রশাসনের অনুমতিসহ সহযাগিতা প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসন অবশ্যই সহযোগিতা দেবে।’

বৈঠকে ২০টি সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ করোনা মোকাবেলার সকল ব্যবস্থাপনায় সহযোগী হওয়ার একটি কর্মপরিকল্পনা জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন- ‘‘সভায় জেলা প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন প্রস্তুাব তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো- ত্রাণ সরবরাহ, সচেতনতা তৈরি করার জন্য ও লকডাউন কার্যকর করতে সব সংগঠনের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় ও পাড়া-মহল্লাাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করা। সমন্বিত উদ্যোগে এলাকাভিত্তিক ত্রাণ প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছানো এবং সরকারি ত্রাণকার্যের সাথে যুক্ত হয়ে বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

‘ধান কাটার মৌসুমে কৃষকদের সহায়তা করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া। টেলিমেডিসিন, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও অ‌্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে জনগণকে স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা দিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া। স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন, পরিবহন ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ও এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া।

‘সমন্বয় কমিটির কার্যপরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা ও ধারাবাহিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারের করোনা মহামারি প্রতিরোধের পরিকল্পনার সাথে একীভূত হয়ে কাজ করা।”

তিনি বরিশালের সর্বস্তরের মানুষদের এই উদ্যোগের সাথে সরকারি সমন্বয় ও সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান।’

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে জনভোগান্তি সৃষ্টির জন্য বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান (ফারুক) ও সদস্যসচিব...