আম পাড়া বিরোধকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামে সোমবার রাতে নাতির হামলায় নানি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার নিহতের সেজ মেয়ে বাদি হয়ে দুই বোন ও ভাগ্নেকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার এজাহারভূক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের মৃত সাহেব আলীর বড় মেয়ে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে পঞ্চম মেয়ে লাইজু বেগমের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার বিকেলে বিরোধপূর্ন জমিতে থাকা গাছের আম পাড়াকে কেন্দ্র কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাকবিতান্ডা ও ঝগড়াঝাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় ফতেমা বেগম (৪০)ও তার ছেলে বাচ্চু বেপারী (২২) লাইজু বেগমের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয় দফা হামলার ঘটনা ঘটলে মৃত সাহেব আলীর স্ত্রী জড়িনা বেগম (৬৫) সংঘর্ষ থামাতে যান। এ সময় নাতি বাচ্চু বেপারীর লাঠির আঘাতে মাথায় আঘাত পেয়ে নানি জড়িনা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পরেন। পরে চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের সেজ মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস অভিযোগ করেন, বড় বোন ফাতেমা বেগমের ছেলে বাচ্চু বেপারী তার মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে ফাতেমা বেগম ও তার ছেলে বাচ্চু বেপারী পলাতক রয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাচ্চুর মা ফাতেমা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়নি। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মা মারা যান।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাত সাড়ে দশটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সেজ মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস বাদি হয়ে বড় বোন ফাতেমা বেগম, তার ছেরে বাচ্চু বেপারী ও পঞ্চম বোন লাইজু বেগমকে আসামি করে গতকাল মঙ্গলবার গৌরনদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার লাইজু বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।