বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চন্দ্রহার কে.আর শিক্ষায়তনের বাথরুম ভাংগার জেরধরে বৃহস্পতিবার সকালে এসএসসি পরিক্ষার্থী ও দশম শ্রেণীর ছাত্রদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবরপেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক জানান, চন্দ্রহার কে.আর শিক্ষায়তনে ব্রাক ওয়াস কর্মসূচি ও স্কুলের যৌথ উদ্যোগে একটি বাথরুম নির্মান করা হয়। বাথরুমটি উদ্বোধনের আগেই এসএসসি পরিক্ষার্থীদের অনুরোধে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দেয়া হয়। গত দুইদিন পূর্বে বাথরুমটি ক্ষতিগ্রস্ত করে এসএসসি পরিক্ষার্থী নাবিল আকন ও আব্দুর রহমান মৃধা। যা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্র দেখে ফেলে। এবিষয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারী) সকালে কম্পিউটার শিক্ষক তোহা খান ও অফিস সহকারী আতাউর রহমান এসএসসি পরিক্ষার্থী নাবিল ও রহমান মৃধাকে জিজ্ঞেস করাতে তাদের উপর ক্ষীপ্ত হয় ওই দুই শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের উপর এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ক্ষীপ্ত হওয়ায় প্রতিবাদ করে দশম শ্রেণীর ছাত্ররা। এরপর স্কুল ছুটি দেওয়ার পর দশম শ্রেণীর ছাত্র আশরাফুল ও শরিফুল নামের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে এসএসসি পরিক্ষার্থীরা। এনিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা এগারটায় স্কুলে জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সকাল দশটায় এসএসসি পরিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকে পূনরায় কম্পিউটার শিক্ষক তোহা খান ও আতাউর রহমানের উপর চড়াও হলে এসএসসি পরিক্ষার্থী ও দশম শ্রেণীর ছাত্রদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তাৎক্ষনিকভাবে অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয়দের সহায়তায় ছাত্রদের নিবৃত করা হয়।
এবিষয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী নাবিল আকনের মা মঞ্জু বেগম জানান, তার পুত্র নাবিল কোনভাবেই বাথরুম ভাংগার সাথে জড়িত নয় এবং পূর্ব থেকেই স্কুলের অফিস সহকারী আতাউর রহমান নাবিলকে সহ্য করতে পারতো না। শুধু মিথ্যে অভিযোগ এনে নাবিলকে মারধর করেছে শিক্ষকরা। এখন শিক্ষকদের দোষ ঢাকতেই নাবিলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।