বরিশালের গৌরনদীতে ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িসহ ৪ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গরঙ্গল গ্রামের নির্যাতিতা গৃহবধু ও এক সন্তানের জননী রুনা বেগম (২৩) বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি গোলাম মাওলা রনি (৩০)কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত রনিকে গতকাল সোমবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে করাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার এসআই মোঃ কামরুজ্জামান মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ৪ বছর পূর্বে উপজেলার গরঙ্গল গ্রামের আলাউদ্দিন আকনের ছেলে গোলাম মাওলা রনি’র সঙ্গে একই উপজেলার আশোকাঠি গ্রামের আব্দুল আলী সরদারের মেয়ে রুনা বেগমের সামাজিক ভাবে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি থেকে ব্যবসা করার জন্য মেয়ে জামাতা রনিকে নগদ ১ লাখ টাকা ও মোটর সাইকেল কেনার জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। পরবর্তীতে শ্বশুর আলাউদ্দিন আকন, শাশুড়ি জাহানারা বেগম, ননদ নুপুর বেগমের কু-পরামর্শে স্ত্রী রুনাকে বাপের (রুনার বাবা) বাড়ি থেকে আরো ১ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে স্বামী রনি। যৌতুক এনে দিতে অস্বীকার করলে ম্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনে প্রায়ই তাকে (রুনা) মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গত ২ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৭টার দিকে পাষান্ড স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনে রুনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে নির্যাতিতা রুনা বেগম বাদি হয়ে অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ৪ জনকে আসামি করে রোববার রাতে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি গোলাম মাওলা রনি (৩০)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রনিকে গতকাল সোমবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে করাগারে প্রেরণ করেন।