বরিশালের কাজীরহাট থানা এলাকার আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান মনির হাওলাদারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন- জেলেদেরকে ৮০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। পাশাপাশি বেশিরভাগ লোক থেকে ১শত করে টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রায় ৬ মাস পূর্বে এই ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ বসত বাড়িতে বিপুল পরিমাণ জেলেদের চাল মজুদ রাখার খবর পেয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনা স্থলে গিয়ে বাড়িতে চাল পেয়ে সিলগালা করেছিলেন।
অনেকের অভিযোগ- অদৃশ্য ইশারায় আইনী জটিলতা থেকে পার পেয়ে যান তিনি। বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যানের চিহ্নিত নিজস্ব ঘনিষ্ঠ ক্যাডারদের বেশ কয়েকজনের বাড়িতে ২/৩ বস্তা করে চাল রয়েছে।
অভিযোগকারীরা বলেন, এবার এক স্থানে গুদামজাত না করে ভাগ ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এই ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ মালিকানাধীন এসএমবি নামে রহমানের হাট সংলগ্ন একটি ইটভাটা রয়েছে। সেখানে প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে। সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এসব বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান মনির হাওলাদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আহবায়ক সেকান্দার আলী জাফর প্রধানমন্ত্রী ও মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।’