বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর আল-মদিনা ফার্মেসীর এক ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে ডাক্তারের চিকিৎসাপত্রে লেখা পুরো ওষুধ পাল্টে রোগীকে অন্য ওষুধ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ফার্মাসিস্টের দেয়া ওই ভুল ওষুধ সেবনের পরে রোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসাপত্র ও ক্রয়কৃত ওষুধ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে ওষুধ পাল্টে দেয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিকারপুর বন্দর এলাকায়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই রোগীকে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসক উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তানবীর আহমেদ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সংবাদকর্মীদের জানান, ‘গত ২৮ জুলাই উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মুন্ডপাশা গ্রামের সাইদুল হক হাওলাদার (৬০) নামের এক রোগী পাইলস, হাটু ব্যাথা ও গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসেন। রোগী সাইদুলকে দেখে ও রোগের ধরন অনুযায়ী তিনি চিকিৎসাপত্র লিখে দেন। পরবর্তীতে ওই রোগী শিকারপুর বন্দরের আল-মদিনা ফার্মেসীতে ওষুধ কিনতে গেলে ফার্মাসিস্ট মাহাবুব হোসেন তার (চিকিৎসক) চিকিৎসাপত্রে লেখা ওষুধ পাল্টে রোগীকে ব্যথাসহ অন্যান্য ওষুধ প্রদান করে।’ চিকিৎসক তানবীর আরও জানান, ‘সেই ওষুধ সেবনের পর রোগী সাইদুল হাওলাদার গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি রোগীর স্বজনরা তাকে (চিকিৎসক) জানায়। পরে চিকিৎসাপত্র ও ফার্মাসিস্টের দেওয়া ওষুধ তার (চিকিৎসক) কাছে রোগীর স্বজনরা নিয়ে গেলে ফার্মাসিস্টের ওষুধ পাল্টে দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। অনেক ফার্মাসিস্টরাই এ রকম ভুল করেন যা মোটেও কাম্য নয়।’ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভুক্তভোগী রোগী সাইদুলের পুত্র ইউনুস হাওলাদার জানান, বিষয়টি ফার্মাসিস্ট মাহাবুব হোসেন রোগী ও তার স্বজনদের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে আল-মদিনা ফার্মেসীর অভিযুক্ত ফার্মাসিস্ট মাহাবুব হোসেন ও তার ভাই বাবুল হোসেন চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ পাল্টে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘রোগী সাইদুল যে সময় ওষুধ কিনতে এসেছিলো তখন দোকানে অনেক ক্রেতা ছিলো। যার কারনে তাড়াহুরোয় ভুলে অন্য রোগীর ওষুধ সাইদুলকে দেয়া হয়েছিলো।’ তারা আরও জানায়, ‘আমরা বিষয়টির ভুল স্বীকার করে স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দর মাধ্যমে ভুক্তভোগীর সাথে মিমাংসা হয়েছি।’