বাংলা নববর্ষের সকালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুকুর থেকে ফাহিমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রাম ক্যাশব গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফাহিমা বেগম ওই গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। তবে নিহত ফাহিমার দেবর নুরে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
নিহত ফাহিমার ভাই মো. আক্তার জানান, গত ১০ বছর আগে চা বিক্রেতা মান্নান বিশ্বাসের মেয়ে ফাহিমার সঙ্গে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বেকারি ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে ফাহিমাকে মারধর করতো নজরুল। ফাহিমা ও নজরুলের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। ৬ মাস আগে নজরুল একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে নতুন করে ঝামেলা বাধে। প্রায় প্রতিদিনই নজরুল ফাহিমাকে মারধর করতেন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফাহিমার মা ফুলোরা বেগম ওই বাড়িতে যান। মেয়ের সঙ্গে কথা বলে চলে আসেন। এরপর রাতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কী হয়েছে সেটা তারা জানানে না। মঙ্গলবার সকালে তাদের বাড়ির সামনের পুকুরে ফাহিমার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি- নজরুল ফাহিমাকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে রেখে পালিয়ে গেছেন।
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ওসি মো. এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে আমরা নিহতের মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের স্বামী নজরুল পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত ফাহিমার দেবর নুরে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।