পটুয়াখালীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যুর পর পটুয়াখালী জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। (রোববার) সন্ধ্যা তা কার্যকর হবে।
রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ডিসি ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন- ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ঘোষণা করায়-পটুয়াখালীর পার্শ্ববর্তী বরিশাল এবং বরগুনা জেলায় করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলো।
অবরুদ্ধকালীন সময়ে জেলার সড়ক , নৌ ও আকাশ পথে জনসাধারণের আগমন-বহিগমন সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করা হলো। জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃউপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একইরুপ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। সকল ধরনের গণপরিবহন,জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। তবে জরুরি পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পন্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ , বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ারসার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট , ব্যাকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী ইত্যাদি সরকার কর্তৃক সময়ে ঘোষিত অন্যান জরুরি পরিসেবা এর আওতা বর্হিভূত থাকবে। (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে এবং পরর্বতী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালীতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্ত দুই জনের মধ্য একজন সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে ফিরেছে। বাকি এক নারী আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত পটুয়াখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আড়াইশ ব্যক্তির সেম্পল আইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্য ৩১ জনের রির্পোট প্রক্রিয়াধীন। বাকিরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত নয় বলে আইডিসিআর থেকে জানানো হয়েছে।