ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক এখন খানাখন্দে ভরা

অবশ্যই পরুন

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের জেলা শহর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কটি এখন খানাখন্দের সড়কে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হবার পর থেকেই উত্তরবঙ্গের যানবাহনের চাপ বেড়েছে এ সড়কে। তবুও সড়ক বিভাগের টনক নড়ছে না।

গত সপ্তাহের টাকা বৃষ্টিতে নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে কয়েক লাখ ছোট বড় খন্দ। জেলা শহরের মুন্সিবাজার থেকে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ সড়কের সংযোগ পর্যন্ত সড়কটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে চালক ও যাত্রীদের কাছে। প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

খানাখন্দের কারণে ধীরগতির যান চলাচলের ফলে বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যান ও পণ্যবাহী যানের সময় লাগছে দ্বিগুণ। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা গোলচত্বর পর্যন্ত আসতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট আর ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরে আসতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা। এদিকে পদ্মা সেতুর কারণে যান চলাচল দ্বিগুণ হলেও রাস্তার কোনো উন্নয়ন বা প্রশস্তকরন কোনো কিছু করা হয়নি এ পর্যন্ত।

এক প্রকার জোড়াতালি দিয়েই চালছে এ মহাসড়কটি। ফলে ব্যস্ততাপূর্ণ এ মহাসড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী ও যান চালকরা। বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানান তাদের অসহায়ত্বের কথা। সড়কে যত্রতত্র ছোট বড় ক্ষত থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে অনেক যানবাহন। তবে সড়কের এই দৈন্যদশায় দেখা মেলেনি সড়ক বিভাগের কোনো তৎপরতা। আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে সাধারণ জনগণ। বৃষ্টি হলেই সন্ধ্যার পরে মনে হয় এক ভুতুড়ে মহাসড়ক। কাদামাটি ও খাল খন্দ দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণ ও যান চালকরা।

রাজিব মোল্যা নামে এক পরিবহন চালক বলেন, রাস্তায় গাড়ি চালাবার কায়দা নেই। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দুর্ঘটনার ভয় রয়েছে আবার গভীর রাতে ছিনতাইয়ের ভয়ও বেড়েছে। দ্রুত এ রাস্তা সংস্কার করা হোক। মহিলা রোড থেকে দাওয়াত খেয়ে মাহিন্দ্রযোগে ফরিদপুর শহরের ফিরছেন উজ্জল ও শুভ।

তারা বলেন, এ মহাসড়কে চড়ে মনে হচ্ছে, ২০ বছর পেছনে ফিরে গেছি। যখন গ্রামগঞ্জে খানাখন্দ আর কাঁদার রাস্তা দেখতে পেতাম। বাংলাদেশ আজ পিছিয়ে গেছে। ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ্ সরদার বলেন, এখানে চার লেনের প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সংস্কার কাজ শুরু করতে পারিনি। আপাতত কিছু সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

বরগুনার আমতলীতে চার ইটভাটাকে ১০ লাখ অর্থদণ্ড

বরগুনার আমতলীতে পরিবেশের ছাড়পত্র, মাটি সংগ্রহ ও ইট প্রস্তুতের লাইসেন্স না থাকায় ৪টি ইটভাটাকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা...