বগুড়ার নন্দীগ্রামে দুই বছরের শি’শু স’ন্তানকে হ’ত্যা করে মা বন্যা রানী লিপি বি’ষপানে আত্মহ’ত্যা করেছে। বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোররাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের পোঁতা গ্রামে এ ঘ’টনা ঘটে। নি’হত লিপি রানী পোঁতা গ্রামের বিপুল বর্মনের স্ত্রী। জানা গেছে, বিপুল বর্মন দুপচাঁচিয়া উপজেলায় একটি চাউল কলে শ্র’মিকের কাজ করেন। তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। মাঝে মধ্যে স্ত্রী স’ন্তানের খবর নিতে বাড়িতে আসেন। কিন্তু সস্প্রতি সময়ে ক’রোনা ভাই’রাসে প্রা’দুর্ভাবের কারনে যানবাহন না থাকায় বিপুল বর্মন নিয়মিত বাড়িতে আসতে পারেন না। বাড়িতে বিপুলের বাবা-মা এবং স্ত্রী স’ন্তান বসবাস করেন।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোর রাত ৪টার দিকে বিপুলের একমাত্র পুত্র স’ন্তান বাপ্পী কে (২) তার মা হ’ত্যা করে। এরপর নি’জেও বি’ষপান করে অ’সুস্থ হয়ে পড়ে। ঘরে গো’ঙ্গানীর শব্দ পেয়ে পাশের ঘরে ঘু’মিয়ে থাকা শ্ব’শুর-শ্বা’শুড়ী জেগে উঠে দেখতে পায় নাতী বাপ্পীর মৃ’তদেহ বিছানায় প’ড়ে আছে এবং পুত্রবধু বি’ষপান করে অ’সুস্থ হয়ে প’ড়েছে। প্রতিবেশীদের স’হযোগীতায় লিপিকে উপজেলা স্বা’স্থ্য ক’মপ্লেক্সে ভ’র্তি করা হয়।
সেখানে চি’কিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষন পর লিপি মা’রা যায়। নি’হত লিপির ভাই আনন্দ বর্মন বলেন ৫ বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শ্বা’শুড়ী অপছন্দ করতো। কারনে অকারনে তার বোনকে মা’নসিক নি’র্যাতন করতো। আর একারনেই স’ন্তানকে হ’ত্যা করে তার বোন আত্মহ’ত্যা করতে পারে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ই’নচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীর বলেন, ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেশীরাও তেমন কিছু বলতে পারছেন না। মা-ছে’লের ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়েছে।