বরগুনা জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। নতুন করে আরও পাচঁজন আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত সংখ্যা ১৭ জন। মারা গেছেন দুইজন। যারা নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা বেশিরভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এখানে এসেছেন।
বরগুনা জেলা গেল শনিবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সড়কপথে প্রবেশ ও বর্হিগমন পথে পুলিশের চেক পোষ্ট হঠাৎ নড়বড়ে হয়ে গেছে। ফলে প্রতিদিন রাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এ্যাম্বুলেন্সে বোঝাই হয়ে এখানে লোকজন ঢুকছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও যাত্রীবাহী এ্যাম্বুলেন্স আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ভাষ্যমতে, তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। জনবল সংকটের কারণে চারদিকে সামাল দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বরগুনায় হঠাৎ করে করোনা সংক্রামক বেড়ে গেছে। ফলে আতংকে রয়েছেন সচেতন মানুষ। স্বভাবতই তারা ঘরের বাহিরে যাচ্ছেন না। তবে একশ্রেণির মানুষ লকডাউন মানছেন না। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌবাহিনীর সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও জনগণ থামাতে পারছেন না।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাচানুর রহমান ঝন্টু জানান, প্রশাসন আরও কঠোর না হলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে লোক আসা ঠেকাতে পারবে না। যারা দূর থেকে আসে তারাই করোনায় সংক্রমিত। বরগুনায় যারা স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত নন। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এখানে ঢুকার একটি মাত্র সড়কপথ। ওই পথটি বেতাগীর চান্দখালী সড়কে পুলিশ কঠোরভাবে পাহারায় থাকলে যাত্রীবাহী এ্যাম্বুলেন্স রাতে ঢুকতে পারবে না।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ূন খান শাহিন বলেন, এ জেলা থেকে সোমবার পর্যন্ত ২৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭টি রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে ১৭টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।