বরগুনার পাথরঘাটায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা খেয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অপমান সইতে না পেরে মাছুম সিকদার নামে এক কলেজছাত্রের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশের চাম্বল গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
নিহত মাসুম সিকদার উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিন সিকদারের ছেলে ও পাথরঘাটা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাসুম সিকদারের। গত মঙ্গলবার রাতে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মেয়ের মামা মাসুমকে আটক করে মারধর করে। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এর পরদিন গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে মাসুমকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়।
মাসুমের দুলাভাই জাহিদ হোসেন জানান, মারধরের ঘটনা ও মোবাইল ফোন ফিরিয়ে না দেওয়ার অপমান সইতে না পেরে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশের চাম্বল গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
মাসুমের বাবা সাহাব উদ্দিন সিকদার জানান, তার ছেলেকে রাতে আটকিয়ে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক না থাকায় তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে বরগুনায় ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।