ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বরগুনায় বুধবার সন্ধ্যায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলা শহর। শত শত দোকানে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মালামাল। পানিতে থৈ থৈ করছে নিম্নাঞ্চল, ডুবে গেছে বসতবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে চালের আড়ত, ইলেকট্রনিক্সের দোকান, ফার্মেসি, কাপড়ের দোকান, কসমেটিকসের দোকানসহ শহরের কয়েকশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
বরগুনা বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইল বিহারী জানান, করোনার কারণে এমনিতেই ব্যবসা বন্ধ। এখন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দোকানগুলোতে পানি ঢুকে যাওয়ায় চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।
একই বাজারের চালের আড়তের মালিক রানা তালুকদার জানান, সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি আর জোয়ারের কারণে পানি বাড়তে শুরু করে। পানি আড়তে ঢুকে কয়েক লাখ টাকার ধান, চাল, ডাল নষ্ট হয়ে গেছে।
শহরের চরকলোনী এলাকার গৃহবধূ হ্যাপি বেগম জানান, তাদের ঘরে পানি ঢুকে বিছানা-বালিশ, জামাকাপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে কীভাবে ওই ঘরে থাকবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকার শামীম আহমেদ জানান, সিডরের পর পায়রা নদীতে এত পানি হতে আর দেখেননি। জোয়ারের পানি এত বেড়েছে যে, ফেরিঘাটের গ্যাংওয়েসহ অনেক দূর পর্যন্ত সংযোগ সড়ক তলিয়ে গেছে।
বরগুনার তালতলী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল মোতালেব জানান, বসতবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্টের পাশাপাশি পুরো জেলায় চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে গ্যাস সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।
বরগুনার ডিসি মো. মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো কাজ করছে।