বরিশালের শোলনায় তিন ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী

অবশ্যই পরুন

বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের শোলনা গ্রামের তিন ভাইইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন শোলনা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা । জমি দখল, হুমকি,ও বসতবাড়ি লুট করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যায়-অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভুগি জাফর মিয়াসহ স্থানীয় একাধিক পরিবার।গত রবিবার (৩ মে) জাফর মিয়ার অনুপস্থিতে একটি বসতঘরসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় মৃত আয়ুব আলী খানের পুত্র রিতু,ইয়াসিন ও নাইম।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হট্রগোল হলেও জানেনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকন।

বসতঘর লুটের বিষয়টি নিয়ে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ বিন আলম বলেন, একহন পর্যন্ত এরকম কোনো অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসেনি।তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

বিশ্বস্ত এক সূত্র বলছে, এসকল আইন বিরোধী কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মৃত আমজেদ আলি খানের ছেলে মনিুরুল ইসলাম। ভুক্তভুগি কলাডেমা এলাকার মৃত সামসুদ্দিন মিয়ার পুত্র জাফর মিয়াঁ জানান,সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন( আয়নাল) স্থানীয় সারভেয়ার মাসুদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখে ৬০৫২ নং দলিল মুলে ক্ষমতা বলে বিভিন্ন দাগে ৯০ শতাংশ জমি জাফরের ভাই হুমায়ুন কবিরের কাছে হস্তান্তর করেন মনিরুল ইসলাম। ২০১৫ সালে মার্চ মাসের তিন তারিখে ২৬৬৪ নং দলিল ক্ষমতা বলে হুমায়ুন কবির তার ভাই জাফরের কাছে হস্তান্তর করেন।

মনিরুল ইসলাম ওই জমি পেতে ভাইয়ের ছেলেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে গত রবিবার (৩ মে) গভীর রাতে একটি ঘসত ঘর লুট করে নেয়,ঘরে থাকা একটি পানির সেচ মেশিনসহ প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মালামাল লুটে নেয়া হয়েছে বলে জানান জাফর মিয়া। পরবর্তী দিন সোমবার সকালে জাফর মিয়ার বড় ভাই জুলফিকার মিয়া বিষয়টি দেখে তার ভাইকে ফোনের মাধ্যমে জানান।

অপরদিকে জুলফিকার মিয়াকে বিভিন্ন সময় প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ওই তিন ভাই।এদিকে জাফর মিয়া তার জমিতে একটি ফলজ বাগান তৈরী করেন। কিন্তু জাফর মিয়া তার কাজের উদ্দেশ্যে কোথাও গেলেই ওরা তিন ভাই বাগানে থাকা বিভিন্ন ফল বস্তা ভরে চুরি করে নিয়ে যায়।যদি চুরির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে ওরা জাফর মিয়াকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা এমনকি কয়েকবার মারধোর করার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিলো।তাদের ভয়ে কেউ এলাকার কোনো ব্যাক্তি প্রতিবাদ করতে পারছে না। এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা বিষয়টি জানলেও প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা তারা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েজন যুবক জানান, ওদের বিরুদ্ধে কথা বলা তো দূরের কেউ যদি গোপনে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেও তাদের পরতে হয় বিভিন্ন মামলার আসমি।

সুত্র বলছে, ২০১০ সালের ফেব্রয়ারি মাসের ২৩ তারিখে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে আল্লাহর নামে ছাড়া ষাড় গরু চুরি করে বিক্রি করার বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবসী। মৃত আয়ুব আলী খানের পুত্র ইয়াসিন গুটিয়ার হাটে নিয়ে আল্লাহর নামে ছাড়া ষাড় গরুটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

একই এলাকার মৃত নবি নেওয়াজ খানের ছেলে সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুল মালেক খান বলেন, ওই তিন জনের কারনে এলাকায় বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পরেছে। জমিতে রোপন কৃত গাছপালা জোরপূর্বক কেটে নেয়ার কারনে একটি মামলা দায়ের করেছি যার নং ১৬৭।তিনি আরো বলেন, এরা এতটাই ভয়ংকর তিন ভাইকে কিছু বললে তার মা দেশীও অস্ত্র নিয়া প্রকাশ্যে আসে । এমতা অবস্থায় প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

কলাপাড়ায় ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩২০ পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার কর্তৃৃৃক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় ও প্রজেক্টে দুর্নীতির বিরুদ্ধে...