বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নে ত্রাণের চালের প্যাকেটে ওজন কম দেওয়ায় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ্যে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। গতকাল সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়াম্যান সরোয়ার মাহামুদসহ অন্যান্য সদস্যরা ক্ষমা চান বলে নিশ্চিত করেন ওই বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ কর্মকর্তা।
করোনা বিপর্যয়ে সরকারের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৬.৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়। ওই ইউনিয়নের ৬৭৫ জন অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে আগামী কয়েকদিনে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল গতকাল সোমবার দিনভর রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে প্যাকেট করা হচ্ছিল।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্যাকেটে ১০ কেজি চাল থাকার কথা থাকলেও সাড়ে ৯ কেজি করে প্যাকেট করছিলেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান। প্যাকেটে ওজনে কম চাল দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তাৎক্ষণিক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করেন।
এরপরও বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হালদার জানান, অভিযোগ শোনার পর তিনি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছেন। চেয়ারম্যান বলেছে- অনুমানের ভিত্তিতে প্যাকেট করায় কিছু চাল কম হয়েছে। তিনি সব প্যাকেটে ১০ কেজি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ বলেন, বস্তায় কিছুটা ঘাটতি থাকায় পরিমাপে কিছু কম দেওয়া হয়েছিলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কঠোর নির্দেশ দেয়ায় সঠিক পরিমাপে প্যাকেট তৈরি করা হয়।