বরিশালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসকদের বহন করার জন্য ছ’টি মাইক্রোবাস দিচ্ছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল নগরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউজে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ও কলেজ অধ্যক্ষসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় কালে এ তথ্য দেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, রোগীরা যাতে দিন চার বেলা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারে এবং গরম চা পান করতে পারে, সেজন্য শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে বরিশালে যাতে সবাই অপ্রয়োজনে বাইরে না গিয়ে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করেন, সেজন্য আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে সভা শেষে হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে ১১০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভর্তি হয়েছেন. এতে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। মূলত চারজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তাদের নাম কেটে দিয়ে হোষ্টেলেই রাখা হয়েছে এবং তাদের নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে করোনা ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মী যেতে না চাওয়া ও অপরিষ্কার থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
সভায় শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন ছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অসীত ভূষণ দাস, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।