বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এম এ আজাদ সজলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। চিকিৎসকের ছোট ভাই ডা. শাহারিয়ার উচ্ছ্বাস বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. রাসেল। তিনি জানান, অজ্ঞাত পরিচয় একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লিফটের নিচ থেকে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া ৯ জন থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পাশাপাশি শেবাচিম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সদস্যদের কাছে ডা. এম এ আজাদ সজলের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডা. সজলের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের স্বরুপকাঠিতে। আর তার পরিবার (দুই সন্তান ও স্ত্রী) ঢাকায় থাকেন। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরির সুবাদে তিনি বরিশালেই থাকতেন এবং প্রাইভেট প্রাকটিসের পাশাপাশি মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৭ম তলার একটি কক্ষে বসবাস করতেন তিনি।
মঙ্গলবার সেহরির সময় তার স্ত্রী ঢাকা থেকে ফোনে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার রুমে তালা দেওয়া দেখে পুলিশে খবর দেয়।
এদিন সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই কক্ষের তালা ভাঙা হয়, তবে সেখানে তার চশমা ও মোবাইল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর খোঁজাখুজি করে হাসপাতালের নিচতলায় লিফটের নিচে তার মরদেহ দেখতে পান মমতা হাসপাতালের এক কর্মী।