গত শুক্রবার ১৫ মে দুপুর ২ টায় উপজেলার জয়নগরের দক্ষিন চর এককুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো মৃত রহিম হাওলাদারের ছেলে বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে তানভীর, মেয়ে লামিয়া বেগম, মেয়ে জামাই মাহমুদুল হাসান, এবং শ্যালক আলমগীর হোসেন।
এদের মধ্যে আব্দুর রশিদ, হাসিনা ও মাহমুদুল হাসানকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা মেহেন্দিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া হয়।
আহতের ছেলে ইব্রাহিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুর রশিদ হাওলাদার এর সাথে জমি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুস সালাম বয়াতির বিরোধ চলে আসছে।
সালাম বয়াতি ও তাদের পরিবারের লোকজন আব্দুর রশিদের জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে আসছে।
তাছাড়া প্রায় সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আব্দুর রশিদ সহ তাদের পরিবারকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় সালাম বয়াতি ও তাদের সহযোগীরা।
বিষয়টি নিয়ে আব্দুর রশিদ ও তাদের পরিবারের লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে সালাম বয়াতি ও তাদের সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
এরই জের ধরে ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুর দুইটায় আব্দুর রশিদের সাথে সালাম বয়াতির বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সালাম বয়াতি ও তাদের সহযোগী মিরাজ শামীম আল আমিন হোসেন আনোয়ার কোহিনুর সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী আব্দুর রশিদ কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। রশিদের ডাক চিৎকারে হাসিনা বেগম, মাহমুদুল হাসান, তানভির, লামিয়া, এবং আলমগীর আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।
সালাম বয়াতি সহ অন্যান্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুর রশিদের ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল কর্তন করে। পাশাপাশি রশিদকে হামলা চালিয়ে তার হাতের কব্জি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এবং হাসিনা বেগম কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয় তারা।
শেবাচিমের অর্থোপেডিক্স এর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আব্দুর রশিদ বয়াতির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক, ধারালো অস্ত্রের কোপে তার হাতের বুড়ো আঙ্গুল কর্তন হয়ে গেছে তবে সুস্থ হতে সময় লাগবে।
এদিকে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে আব্দুস সালাম বয়াতি ও তাদের সহযোগী মিরাজ, শামীম, আনোয়ার, বশির উল্লাহ নাটকীয় কায়দায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনরা জানান।