করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, গণজমায়েত বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে শুরু থেকেই বরিশাল জেলা প্রশাসন নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সরকার কর্তৃক গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসগুলো যাত্রী তুলছে কিনা
এবং বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া কতটা মানা হচ্ছে তা মনিটরিং করার জন্য বরিশালের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান-এর নির্দেশনায় বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। এসময় তিনি বিআরটিএ-এর পরদর্শক ইকবাল আহমেদকে সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও নির্ধারিত ভাড়া তালিকা মেনে চলতে প্রতিটি বাস কাউন্টারে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এক যাত্রীকে ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী বেশ কয়েকটি বাস থামিয়ে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন ও ভাড়া তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শন করা হয়। এসময় চট্টগ্রাম অভিমুখী এস এ পরিবহন, অন্তরা পরিবহন এবং ঢাকা অভিমুখী দিদার ট্রাভেলস নামক তিনটি বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুন/তিনগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন।
অভিযোগএর ভিত্তিতে দেখা যায় বাসগুলো ৫০০/৭০০ টাকার ভাড়া ১৫০০/১৬০০ টাজা করে নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ স্বীকার করে বাস সুপারভাইজার ও চালক এজন্য মালিকপক্ষকে দায়ী করেন। এমন অপরাধে উল্লিখিত ৩টি বাসকে বিভিন্ন অংকের মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন র্যাব-৮ এর একটি টিম। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জনস্বার্থে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।