সারা দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসনের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে এসব ত্রাণ সামগ্রী। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল সহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে যে চাল এসেছে সেগুলো স্তানীয় ইউপি সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের না জানিয়ে বিতরণের ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাওসেল আলম লাল এর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ খোদ ঐ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের। প্রায় সাড়ে ১৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নানা লুকোচুরি সহ এমনকি চাল বিক্রি করে দেওয়ারও তথ্য পাওয়া গেছে। শুধু চেয়ারম্যানই নয় তার সাথে এই কাজে একজন ইউপি সদস্য জড়িত রয়েছেন বলে জানান তারা।
চরামদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘সরকার দলীয় লোকজনের সহযোগীতা নিয়ে এসব চাল বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও চরামদ্দিতে তা করা হয়নি। বরং এখানের চেয়ারম্যান এই কার্যক্রম কিছুটা লোকচক্ষুর আড়ালেই করেছেন। এতে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি।’
চরামদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান বাচ্চু বলেন, ‘চেয়ারম্যান এবং একজন মেম্বার মিলে এটা করেছেন। তারা ত্রান-সাহায্য বিতরণ কার্যক্রমের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় মিটিং করার ক্ষেত্রে তার নিজ লোকদের ব্যাতিত অন্যান্য কোনো দলীয় নেতাকর্মী এবং ইউপি সদস্যদের ডাকেননি তিনি। জনেগনের চাল নিয়ে কেন এই লুকোচুরি সেটাই আমার প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে চরামদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাওসেল আলম লাল বলেন, ‘আমরা সঠিক ভাবেই সরকারি চাল বিতরণ করেছি। দলীয় লোকজনকে দায়িত্ব দিলে তারা সব খেয়ে ফেলতো। তাই যথাযথ ভাবে বিতরণ করে তাদেরকে আমি জানিয়েছি। কিছু লোক অযথা আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
বাকেরগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল আলম চুন্নু বলেন‘ চেয়ারম্যান সাহেব প্রবীণ লোক, দলীয় নেতাকর্মীদের সমন্ময়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ বন্টন করলে তা সুষ্ঠ হত। যদিও আমি ওই ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের ২টন চালের বরাদ্ধ দিয়েছি যা তারা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে বলে আমাকে অবহিত করেছে তবে অনিয়মের ব্যাপারে আমার কিছু যানা নেই।