ষ্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রাম এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা ও খাজুরিয়া গ্রামের বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে বিছিয়ে আছে শাপলার বিল।
তবে সাতলার বিল ‘লাল শাপলার বিল’ নামেই বেশি পরিচিত। প্রাকৃতিকভাবেই বিলটির জন্ম। পর্যটকদের কাছে অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিলটি। প্রতিবছর নয়নাভিরাম এই বিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে আসেন হাজার হাজার দর্শনার্থীরা ।
গোলাপি আর সবুজের মাখামাখি দূর থেকেই চোখে পড়বে। কাছে গেলে ধীরে ধীরে সবুজের পটভূমিতে গাঢ় গোলাপির অস্তিত্ব চোখ জুড়িয়ে দেবে। বিস্তৃত বিলের জলে ফুটে থাকে কোটি কোটি শাপলা। জাতীয় ফুল শাপলার গাঢ় গোলাপি রং বলে স্থানীয়ভাবে এটিকে লাল শাপলা হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। প্রাাকৃতির আপন নিয়মে সৃষ্ট সাতলা-বাগদা এলাকা নিকট অতীতেও ছিল চরম অভাবী এলাকা।
শাপলা-সালুক খেয়েই বছরের বেশিরভাগ সময় এ প্লাবন ভূমিতে বসবাসকারী মানুষ ক্ষুন্নিবৃত্তি করত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে তিনটি পোল্ডারে ‘সাতলা-বাগদা সেচ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে এখানে বোরো ধান সহ অন্যান্য ফসলের মুখ দেখেছে এলাকাবাসী। ফলে চীর অভাবী এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। সাথে মাছের উৎপাদনও বাড়ছে।
এখানে মাছ রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চালান যাচ্ছে। সাথে বিশাল শাপলা বিলের শাপলা বিক্রি করেও এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর সংসার চলছে। প্রতিবছরই নয়নাভিরাম এ বিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থী। এবার বিদেশি পর্যটকরাও আসছেন শাপলার বিল দেখতে।
গত শনিবার বেশ কয়েকজন চীনা নাগরিক শাপলার বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এসেছিলেন। তারা এখান থেকে সরাসরি ভিডিও কলে চীনে নিজ পরিবার পরিজনকে বরিশালের শাপলা বিলের দৃশ্য প্রদশন করেছেন।
এদৃশ্য দেখে সুদূর চীন থেকে বেড়াতে আসা পযটকদের পরিজনেরাও বরিশালের ‘শাপলা বিল’ দেখতে আসর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ।