স্টাফ রিপোর্টার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল তথা বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে দুইটিতে জাতীয় পার্টি, ৪টিতে স্বতন্ত্র ও বাকি সকল আসনে নৌকার প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ৪র্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ভোলা-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। আর সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন বরিশাল-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী (লাঙ্গল) গোলাম কিবরিয়া টিপু। তিনিও ৪র্থ বারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছেন।
রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জ্যাকব পেয়েছেন ২,৪৫,০৮৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৫,৯২৮ ভোট। আর সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত টিপু পেয়েছেন ৫১,৮১০ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৪,১২৩ ভোট।
এছাড়া এই বিভাগের হেবিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছেন ভোলা-১ আসনের তোফায়েল আহমেদ। তিনি পেয়েছেন ১,৮৫,১৫২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. শাহজাহান মিয়া লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৫,৫১৯ ভোট। বরিশাল-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ পেয়েছেন ১,৭৬,৭৭৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী পেয়েছেন ৪,১২২ ভোট। ঝালকাঠি-২ আসনের আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু ১,৩৭,০০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিন এমরান লাঙ্গলে পেয়েছেন ৪,৩১৭ ভোট। পটুয়াখালী-২ আসনের নৌকার আ স ম ফিরোজ ১,২৪,৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মহসীন হাওলাদার পেয়েছেন ২,৯৫৮ ভোট। বরিশাল-২ আসনের ১৪ দলের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নৌকা প্রতীকে ১,২১,৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের একে ফাইয়াজুল হক রাজু পেয়েছেন ৩১,১৬২ ভোট। বরিশাল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের জাহিদ ফারুক নৌকায় ৯৭,৭০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাকের মো. সালাহউদ্দিন রিপন পেয়েছেন ৩৫,৩৭০ ভোট। ঝালকাঠি-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম) পেয়েছেন ৯৫,৪৭৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির গোলাপ ফুলের আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন ১,৬২৪ ভোট। পিরোজপুর-১ আসনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ৮৫,৪১০ ভোট পেয়ে আবারও বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের একেএমএ আউয়াল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪৮৭ ভোট।
এ ছাড়া বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র ঈগলের পংকজ নাথ ১,৬১,৪৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৭,৬৭৫ ভোট। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার আবদুল হাফিজ মল্লিক ৬০,১০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ট্রাকের মোহাম্মদ শামসুল আলম ৩৯,৩৭৪ ভোট পেয়েছেন। পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান লাঙ্গলের এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার ৮১,৫০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস পার্টির ডাবের নাসির উদ্দিন তালুকদার পেয়েছেন ২৬,৮৭৪ ভোট। পটুয়াখালী-৩ আসনে নৌকার এস এম শাহজাদা ৯৪,৪১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগলের প্রার্থী বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মেজর (অব.) আবুল হোসেন পেয়েছেন ৫৯,০২৪ ভোট। পটুয়াখালী-৪ আসনে নৌকার মহিব্বুর রহমান মহিব ৫৬,২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগলের প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার পেয়েছেন ৪৫,৪২০ ভোট। পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র ঈগলের মহিউদ্দিন মহারাজ ১,০১,৪৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭১,৫২১ ভোট।
পিরোজপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলারছড়ি প্রতীক) শামীম শাহনেওয়াজ ৬২,১৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. রুস্তুম আলী ফরাজি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬২১ ভোট। ভোলা-২ আসনে নৌকার আলী আজম মুকুল ১,৫৯,৩২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী গজনবী (জেপি) পেয়েছেন ৩,১৯১ ভোট। ভোলা-৩ আসনে নৌকার নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ১,৭২,০৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেজর (অব.) মো. জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ১৭,৮৮৬ ভোট। বরগুনা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু পেয়েছেন ৬১,৭৪২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান পেয়েছেন ৫৮,১৪৭ ভোট। এদিকে ৫ বারের নির্বাচিত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু পেয়েছেন ৫৪,০৯৮ ভোট। বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরা নৌকায় ৪৬,০৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নোঙ্গর প্রতীকে (বিএনএম) প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ড. আব্দুর রহমান খোকন পেয়েছেন ১,০২৭ ভোট।