বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ৩৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৩৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি ব্যতীত বাকি চার জেলায় ১৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
পাশাপাশি সর্বশেষ তথ্যা অনুযায়ী, সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা বরিশাল নগরের বাজার রোড এলাকার বাসিন্দা রতিন ঘোষ (৩৫) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আব্দুর রশিদ (৭২), দুমকি উপজেলার মো. ইউনুস হাওলাদার (৭৫) ও বাউফল উপজেলার সালমার (৩৫) নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। ফলে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ১৭ হাজার ১২৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৫ হাজার ৬৫১ জনকে। এরমধ্যে ১৩ হাজার ১ শত জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে এক হাজার ৪৭৩ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৯৭৯ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৯৫৪ জন। এরইমধ্যে ৪৫৩ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে ১৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৮৬২ জন, পটুয়াখালীতে ১৫৫ জন, ভোলায় ৯০ জন, পিরোজপুরে ১০২ জন, বরগুনায় ১০৩ জন ও ঝালকাঠিতে ৮১ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে গোটা বিভাগে ৩৬৯ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজেটিভ ২৭ জনের মধ্যে বরিশাল নগরসহ জেলায় ১১ জন, পটুয়াখালীতে ১০ জন, পিরোজপুরে তিনজন, ঝালকাঠিতে তিনজন, ভোলায় দু’জন ও বরগুনায় দু’জন রয়েছেন।