বরিশালের বানারীপাড়া পৌর শহর ময়লা আবর্জনার ‘ভাগাড়ে’ পরিনত হয়েছে। পর্যাপ্ত মশক নিধন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় এর থেকে মশার উৎপত্তি হওয়ায় জনমনে ডেঙ্গু আতংক সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এরমধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এক শিশু শিক্ষার্থী বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে রেফারের পরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধিন রয়েছে। বানারীপাড়া পৌর শহরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় প্রতি বাড়ির মধ্যে, বাড়ির সামনের রাস্তা ও ডোবা-নালা-খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তুপ করে রাখায় এবং দীর্ঘদিনেও তা পরিস্কার না করায় দুর্গন্ধে বসবাস ও রাস্তা দিয়ে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে।
মুখে রুমাল, কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয়। দীর্ঘদিনেও জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার না করায় পৌর শহর এ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। বানারীপাড়া মাহমুদিয়া মাদরাসার পিছনের ও উপজেলা হাসপাতালের খালসহ পৌর শহরের খালগুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে মৃতপ্রায় খালে রূপ নিয়েছে। এ সব উৎস থেকে মশা-মাছি সৃষ্টি ও রোগজীবানু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু মশা সৃস্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ডাস্টবিনের বিকল্প হিসেবে কিছু কিছু রাস্তার মোড়ে ও ব্যক্তি বিশেষের বাড়ির সামনে পৌর কর্তৃপক্ষ প্লাস্টিকের ড্রাম রাখলেও তা নিয়মিত পরিস্কার না করায় দুর্গন্ধে পরিবেশ দুষিত হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে- টাকা না দিলে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মাসের পর মাস ড্রামগুলো পরিস্কার না করে ফেলে রাখে।
পৌরবাসী তাদের এ ভোগান্তি থেকে পরিত্রান পেতে মেয়রের আশু কার্যকরী পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল জানান, ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া ও বেদখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সম্প্রতি বরিশালে প্রশাসনের বিভাগীয় পর্যায়ের একটি মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।