বানারীপাড়ার ইলুহারের সেই তিন ইউপি সদস্য ইউএনও’র কাছে লিখিত ব্যাখা দিয়েছেন

অবশ্যই পরুন

বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল কালাম,আ.ছালাম ও সিরাজুল ইসলাম মন্টু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে লিখিত আকারে পৃথক ৩টি ব্যাখা জমা দিয়েছেন। সম্প্রতি বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতাধীন মানবিক সহায়তার ১০ টাকা কেজি দরের কার্ডের চাল আত্মসাত’র অভিযোগ ওঠে ওই তিন মেম্বর’র বিরুদ্ধে।

লিখিত ওই ব্যাখায় তারা দাবি করেন ২০১৬ সালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ১০ টাকা কেজির চালের কার্ডের তালিকা করা হয়। পরবর্তীতে তাদের ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দের কার্ড উপজেলা পরিষদ থেকে সরাসরি ডিলারদের কাছে যায়। ডিলাররা ওই কার্ডগুলো পরে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেয়। ওই কার্ডের বিপরীতে চাল উত্তোলণ’র বিষয়ে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ডিলারের কাছ থেকে সুবিধাভোগীরা চাল ক্রয় করে থাকেন। সেক্ষেত্রে ইউপি সদস্যের কোন সম্পৃক্ততা থাকেনা।

যদিও কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিলাররা দায়ি। সম্প্রতি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হলে উপজেলা পরিষদের নির্দেশনায় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম পরিষদে কার্ড জমা দিতে বললে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালামের কাছে ডিলার ইয়াছিন ১৩৩ কার্ডের স্থলে প্রথমে ১২২টি কার্ড দিলে এনিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।পরে বাধ্য হয়ে ডিলার তার কাছে রাখা বাকী ১১টি কার্ড জমা দেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আ.ছালামের কাছে ডিলার ফায়জুল মোল্লা ১১৩টি কার্ডের স্থলে ৯৯টি কার্ড জমা দেন। ১৪ টি কার্ড জমা দেওয়া হয়নি।

একই ডিলার ১০০টি কার্ডের স্থলে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম মন্টুর কাছে ৯০টি কার্ড জমা দেন। বাকী ১০ টি কার্ড জমা দেওয়া হয়নি। ১ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি,৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬টি ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি মোট ১৪ টি কার্ডের চাল সাক্ষর জাল করে যে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে এর সঙ্গে ডিলাররা জড়িত বলে তারা দাবি করেছেন।

এছাড়া এটা আগামী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেও ওই লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান ওই তিন ইউপি সদস্য তাদের বিরুদ্ধে ১৪ হতদরিদ্র কার্ডধারীর চাল আত্মসাতের অভিযোগের ব্যপারে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে লিখিত ব্যাখা দিয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ও তাদের দেওয়া ব্যাখার বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে ওই তিন ইউপি সদস্য বানারীপাড়া প্রেসক্লাবকে জানান,তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য স্থানীয় একটি মহল অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র করে আসছে যা তদন্ত সাপেক্ষে বেড়িয়ে আসবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে জনভোগান্তি সৃষ্টির জন্য বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান (ফারুক) ও সদস্যসচিব...