গৃহবধু মাহমুদা (২৮) হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৫ আসামী আইনের জালে বন্ধি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বানারীপাড়া পৌর শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশালের বানারীপাড়া থানা পুলিশ। বিশেষ ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন, ওসি শিশির কুমার পাল ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ।
সফল ওই অভিযানের চৌকসি জালে গৃহবধু মাহমুদা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী গাফ্ফার হাওলাদার (৫৫), তার স্ত্রী দোলেনা বেগম (৪৫), তার তিন ছেলে ফোরকান (২৬), ফরিদ (২৪) ও শাকিল (১৯) বন্ধি হয়ে যায়। উল্লেখ্য উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মধ্য ইলুহার গ্রামের তোতা মিয়া হাওলাদার ও তার ভাই গাফ্ফার হাওলাদারের পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।
এর জের ধরে ২৫ এপ্রিল দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামীরা তোতা মিয়া হাওলাদার (৬৫),তার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৫৫) ও বেড়াতে আসা তাদের মেয়ে মাহমুদাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পরে মাহমুদা বেগম’র অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সে মারা যায়। ওই হাসপাতালে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পরে বানারীপাড়ার মধ্য ইলুহার গ্রামে দাফন করা হয় মাহমুদার লাশ।
এ ব্যপারে নিহত ওই গৃহবধুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে চাচা গাফ্ফার হাওলাদার, চাচি দোলেনা বেগম (৪৫), তিন সহোদর চাচাতো ভাই ফোরকান (২৬), ফরিদ (২৪) ও শাকিল (১৯) কে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ জানান বুধবার সকালে আসামীদের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।