ফুরচুন বরিশালের দল গঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তামিম ইকবালকে আইকন ক্রিকেটার ঘোষণা করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পরে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে টানে বরিশাল। ওদিকে টেস্টের বোলার তাইজুল ইসলামকে নিলাম থেকে দলে ডাকায় অনেকে তামিমদের দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করেছিল। দলটিতে ছিলেন পাকিস্তানের ‘বুড়ো’ শোয়েব মালিকও।
সব মিলিয়ে ফরচুন বরিশালকে বলা হচ্ছিল ‘বুড়োদের দল’। টি-২০ ক্রিকেট তরুণদের খেলা মনে করা হলেও ওই বুড়োরা দেখিয়ে দিয়েছেন ‘অল্ড ইজ গোল্ড’ বা ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’। ফাইনালে উঠে কথাটা মুশফিকও একবার বলেছিলেন, ‘যেকোন ফরম্যাটে অভিজ্ঞতার একটা দাম আছে, এটা তো প্রমাণ হলো।’
শুক্রবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথমবার বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। ম্যাচের পর বরিশালের অধিনায়ক নিজের ফেসবুক পেজে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ’র সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ওল্ড বাট নট আউট’। যার বাংলা করলে ‘বুড়ো কিন্তু বাতিল নই’ এমন অর্থই দাঁড়ায়।
আসরে ব্যাট হাতে ও নেতৃত্বে দারুণ পারফর্ম করে তামিম-মুশফিক-রিয়াদ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তামিম আসরের সর্বোচ্চ ৪৯২ রান করেছেন। মুশফিক ম্যাচ জয়ী কিছু ইনিংস দিয়ে আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ ৩৮০ রান করেছেন। মাহমুদউল্লাহ লোয়ারে নেমে ২৩৭ রান করেছেন। ১৩৪.৬৫ স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন তিনি।
তাদের যোগ্য সম্মান দিতে ম্যাচ পরবর্তী সম্প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মুশফিক এবং রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে যান তামিম ইকবাল। প্রথমবার বিপিএলের শিরোপা জেতায় মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহকে ম্যাচ শেষে শিরোপা উৎসর্গ করেন দেশ সেরা ওপেনার ও বরিশালের অধিনায়ক তামিম।
দু’জনের প্রশংসা করে শিরোপা তাদের পাওনা ছিল বলে উল্লেখ করেন তামিম, ‘দলে মিরাজ-সৌম্যর মতো তরুণরা ছিল। আবার মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞরা ছিলেন। অনেক দিক থেকে তাই চ্যালেঞ্জ ছিল। (মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ) তারা দেশকে যা দিয়েছে, এমন একটা ট্রফি তাদের পাওনা ছিল। সেজন্য ভাবছিলাম, জিততে পারলে এটা তাদের উৎসর্গ করবো।’
মুশফিক অনেকদিক থেকে দলকে সহায়তা করেছেন বলেও জানান তামিম, ‘অনেক সময় আমরা যোগ্য ব্যক্তিকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেই না। টুর্নামেন্টের শুরুতে আমি মুশফিককে বলেছিলাম- ফিল্ডিং-বোলিং পরিবর্তনের দায়িত্বটা নেবেন কিনা। তিনি এগুলোতে খুব ভালো ভূমিকা রেখেছেন, এই শিরোপা সবচেয়ে বেশি পাওনা ছিল তারই।