ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ভোলা জেলার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাছ চাপায় একজন ও ট্রলার ডুবে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও থেমে থেকে দমকা হাওয়া বইয়ে চলছে। পুরো জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বুধবার (২০ মে) চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচা এলাকায় গাছ চাপায় ছিদ্দিকুর রহমান নামের ৭৫ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার। অপর দিকে লক্ষ্মীপুরের মঝুচৌধুরীর ঘাট থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারযোগে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসার সময় রাজাপুর এলাকায় কূলের কাছাকাছি এসে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায় বলে জানা গেছে। বিষয়টি বোরহানউদ্দিন থানার ওসি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানিয়েছেন, চরফ্যাসন, মনপুরাসহ দূর্গম এলাকার চরাঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষ ও ১ লাখ ৩৬ হাজার গবাধি পশুকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। এদের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। চরফ্যাশন ঢাল চর, চরকুরি মুকরি ও চরপাতালি সহ ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ।
দুপুরের পর থেকে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বেড়ে যাওয়ায় বাধের বাইরের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের অনেক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। তাদেরকে উদ্ধার তৎপড়তা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাসনের ঢালচর ও কুকড়িমুকড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন।
এদিকে প্রশাসন, রেডক্রিসেন্ট এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনসহ রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ১০ হাজার ২শ’ সেচ্ছাসেবী। প্রত্যেকটি উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে পৃথক পৃথক কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।