মনীষাদের ডাকে বরিশালে বিভিন্ন দলের সভা: গরিবদের খাদ্য দেওয়ার দাবি

অবশ্যই পরুন

বরিশালে বাসদের রুমন-মনীষাদের ডাকে বিএনপি, বামসহ সব দল উন্মুক্ত আলোচনা করে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ রোববার সকাল ১১ টায় নগরীর ফকিরবাড়ি রোডের মাতৃছায়া স্কুল সংলগ্ন বাসদ কার্যলয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল জেলা কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবীব রুমনের সঞ্চলনায় উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল মেডিসিন বিশেষঞ্জ চিকিৎসক প্রফেসর এইচ.এম সরকার, বরিশাল জেলা বিএিনপি (দক্ষিণ) সভাপতি আলহাজ্ব এবায়েদুল হক চাঁন, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলু, বাসদ (মার্কসবাদী) বরিশাল জেলা আহবায়ক সাইদুর রহমান, বরিশাল উদীচীর সভাপতি সাংবাদিক সাইফুর রহমান মিরন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বরিশাল শাখার সদস্য শেখ সুমন ও তরুণ স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন সদস্য কামরুন নাহার মোহনা।

উন্মুক্ত আলোচনা সভায় মেডিসিন বিশেষঞ্জ ডা. এইচ.এম সরকার বলেছেন, আমাদের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে মানুষকে করোনা সম্পর্কে অবহিত করার মাধ্যমে তাদেরকে সচেতন সৃষ্টি করার পাশাপশি তারা যেন শারীরিক দুরুত্ব বজায় রেখে চলাচল করে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, লকডাউন করে বসে থাকলে চলবে না, কারা খাবার পাচ্ছেন না সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের মাঝে খাবার বণ্টন করতে হবে। মনে রাখতে হবে দরিদ্রদের ক্ষুধা করোনার চেয়ে ভয়ংকর। ক্ষুধার্তদের শাসন দিয়ে আটকে রাখা যাবে না।

তাই সমন্বিতভাবে সকলকে এক হয়ে কাজ করলে এর কিছুটা সমাধান করা সম্ভব বলে তিনি দাবী করেন।

বরিশাল জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন বলেন, বর্তমান করোনা সংকটময়কালে জাতীয় প্রর্যায়ে থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা ও থানা প্রর্যায়ে সকলকে নিয়ে কমিটির মাধ্যমে এর সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। একক বা পৃথকভাবে কাজ করে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।

ওয়াকার্স পার্টি বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলু বলেন, যতই মানুষকে গৃহবন্ধি করে রাখা হবে, ততই খাদ্য সংকট দেখা দেবে। মানুষের পেটে ভাত না থাকলে সেতো রাস্তায় নামবে বেঁচে থাকার জন্য। শুরুতেই প্রশাসনিকভাবে এই কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজন ছিল।

তরুণদের সংগঠন লাল সবুজের সদস্য কামরু নাহার মোহনা বলেন, করোনার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সে সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা মালিকদের থেকে শুরু করে কারো কাছ থেকে কোন ধরনের আর্থিক ও খাদ্য সহযোগিতা পায়নি।

এসময় বাসদ বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা করোনা পাদুর্ভাব দেখা দেয়ার শুরুতেই সভা-সমাবেশের মাধ্যমে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে আধুনিক করার প্রস্তাবসহ সতর্ক করার চেষ্টা করেছি তখন আমাদের নিয়ে বিদ্রুপ করেছে। আমরা আমাদের সংগঠন বাসদের মাধ্যমে হ্যান্ডওয়াস তৈরী করে নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ১০ হাজার বিতরণ করেছি এবং সেই সঙ্গে এক মুঠো চালের কর্মসূচির মাধ্যমে আসহায় মানুষের মাঝে সেবা দিয়েছি। অন্যদিকে বাসদ বরিশাল জেলা কমিটি অসহায়দের জন্য মানবতার বাজারের মাধ্যমে ফ্রি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করে যাচ্ছি।’

এই করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ অসহায় মানুষের জন্য রেশনিং প্রদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি চিকিৎসকদের সু-রক্ষার মাধ্যমে রোগীদের সেবা দিতে তার ব্যবস্থা করার আহবান জানান তিনি।

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

স্মার্টকার্ড বিতরণ কালে ১৫ জন মহিলার গলার স্বর্ণের চেইন চুরি

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্মার্টকার্ড আনতে গিয়ে ১৫ জন মহিলার স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায়...