মানবতার চিকিৎসক ডাঃ মনজুর-উর-রহমান

অবশ্যই পরুন

সংকটময় মহামারী করোনায় সারা দেশে যখন লক ডাউন, বন্ধ প্রায় ডাক্তারদের চেম্বার, করোনা ব্যাতীত অন্যান্য রোগের রোগীরা যখন ঘরের বাইরে বেরুতে ভয় পাচ্ছেন ; চিকিৎসা সেবা পেতে অন্যান্য রোগীরা যখন দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ, গৃহবন্দী রোগীরা যখন কষ্ট পাচ্ছেন ঠিক তখনই এগিয়ে এসেছেন একজন মানবতার ডাঃ মনজুর-উর-রহমান।

ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বর্তমান বাস্তবতায় বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলা সহ দক্ষিনের জেলাগুলোর শত শত রোগীকে নিঃস্বার্থ মানবিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত যারা ডাঃ মনজুর-উর-রহমান এমবিবিএস (ঢাকা), সি.সি.ডি (বারডেম), পোস্ট-গ্রাজুয়েশন ইন ডায়াবেটোলজি ( বোস্টন ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা), এডভান্সড ট্রেইনড- ইন- স্টেনো ডায়াবেটিস (কোপেন হেগেন, ডেনমার্ক) এর চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন এবং দেখেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় যে কারো মন ভরে ওঠবে । গর্বিত আজ বরিশালবাসী তাদের একজন ডাঃ মনজুর-উর-রহমান আছে। দিনে দিনে তিনি বরিশাল বাসীর স্বপ্নের ডাক্তার হয়ে উঠেছেন।

যেখানে রাত ১০ টার পরে চিকিৎসা সেবা পাওয়া অসম্ভব সেখানে এই তরুন চিকিৎসক গভীর রাতেও রোগীর জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। যখন কেউ তার বৃদ্ধ অসুস্থ বাবামা বা নিজেকে নিয়ে গভীর রাতে উৎকন্ঠা ও দুঃচিন্তায় দিশেহারা হয়ে কি করবেন ভেবে না পেয়ে অবশেষে এই বিপদের বন্ধু ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করছেন ঠিক তখনই তিনি অনলাইনে রোগীর বিস্তারিত জেনে এবং পূর্বের রেকর্ড জেনে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

দক্ষিন আলেকান্দা নিবাসী আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন ( ৭৫) দীর্ঘদিন উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। রমজানে রাত জেগে এবাদত বন্দেগী সহ রীতিমতো রোযা রাখতে রাখতে দূর্বল হয়ে পড়েন। তার ডায়াবেটিস অনেক বেড়ে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। গতকাল রাতে ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে পূর্বের ডাক্তারদের ব্যবস্থা পত্র ও রিপোর্ট দেখে তিনি তাৎক্ষনিক পরামর্শ দেন।

ছোট বেলায় রচনায় মহান মানবতার সেবক ডাক্তার রচনায় অনেকেই অনেক মহানুভবতার কথা উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু রচনার বাস্তব সিঁড়িতে পদার্পণের সু্যোগ সবার হয় না। অর্থবিত্ত, নামযশ কিংবা বানিজ্যিক চেতনা বোধকে উপেক্ষা করে তিনি একজন মানবতার ডাক্তার, মানবিক ডাক্তার। টাকার বদলে সেবা যে একজন ডাক্তারের ব্রত হতে পারে ডাঃ মনজুর-উর-রহমান সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গরীব ছাত্র ও অসহায় গরীবের ফ্রি চিকিৎসা করেন। এলাকায় ফ্রি রোগী দেখেন। সোনালী সমাজ গড়ার এক নীরব কারিগর এই চিকিৎসক।

ডাক্তারি পরামর্শের তার ব্যক্তিগত নাম্বার ব্যবহার করেন। ইমু নাম্বার।তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দেশের সব প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ, সাথে সরকারি হাসপাতালেও রোগী দেখা খুবই সীমিত হয়ে পড়ায় বর্তমানে ফোনেই আপনাদের সেবা নিতে হবে।

হার্ট, কিডনি, ডায়াবেটিস সহ জটিল রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইমুতে আগের প্রেসক্রিপশন(যে কোন ডাক্তারের) এবং ঔষধের ক্লিয়ার পিক পাঠিয়ে তারপর ফোন দিবেন।ব্যস্ত থাকতে পারি। তাই ফোনে একবার না পেলে পরে আবার যোগাযোগ করবেন। আমার ও আমার পরিবারের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আপনাদের জন্যও দোয়া করি। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

কলাপাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তিসহ বাড়ি—ঘর জবর দখল থেকে রক্ষার প্রতিবন্ধী যুবকের সম্মেলন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তিসহ বাড়ি—ঘর জবর দখল থেকে রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিবন্ধ যুবক নুর আলম। সোমবার...