বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১২ নং দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহল্লাদার নান্নু কবিরাজকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল। মিডিয়া সেল সূত্রে জানাগেছে, মধ্য দরিচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ শহিদুল ইসলামকে লাঞ্চিত করার ধারণকৃত ভিডিও ক্লিপে নান্নু কবিরাজের অবস্থান দেখা যায়, অর্থাৎ সেও লাঞ্চনার ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
এছাড়া নান্নু চৌকিদার ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকার কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাই বিধি অনুযায়ী গ্রেফতার হওয়ার দিন থেকে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মহল্লাদার নান্নু কবিরাজকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে। উল্লেখ্য, এক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে আসাকে কেন্দ্র করে গত ৩ জুন শালিশ বিচারের নামে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিম্নমান সহকারি মোঃ শহিদুল ইসলামকে জুতার মালা পড়িয়ে নির্যাতন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
এঘটনার পরদিনই থানায় মামলা দায়ের করেন শহিদুল ইসলাম। পুলিশ চেয়ারম্যানসহ এপর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি প্রাথমিক তদন্তে ওই ঘটনা চেয়ারম্যান ও মেম্বার কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মধ্য খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ শহিদুল ইসলামকে লাঠি, জুতা ও ঝাড়ু ব্যবহার করে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত ও ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী, জুতার মালা রিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ প্রমানিত হয়। এরপরপরই গত ৯ জুন দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা রাঢ়ী ও একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোঃ শহীদ দেওয়ানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।