বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করার পর ভালবাসা মানবতা ও বিবেক হারিয়ে পরিবার থেকে লাশ দাফনে অস্বীকৃতি প্রকাশ করায় জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের সার্বিক দিক নির্দেশনা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,স্থানীয় চেয়ারম্যান ও কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের নিয়ে গভীর রাতে লাশ দাফন কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের তথ্য মিডিয়া সেল সূত্রে প্রকাশ জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের জমাদ্দার বাড়ির মাহেব জমাদ্দারের পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান জমাদ্দার চিকিৎসার জন্য শুক্রবার বিকালে বরিশাল যাওয়ার পথে আকস্মিক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে বেশ কিছুদিন তিনি জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন।
মোঃ মিজানুর রহমান জমাদ্দারের মৃত্যুর পরে করোনা সন্দেহে তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা বিবেক মানবতা ভুলে গিয়ে মৃত্যুর দাফনকাজ করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করার পাশাপাশি একবারের জন্যও তাকে শেষ দেখার জন্য কেহ এগিয়ে আসেনি।
এ বিষয়টি বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানার সাথে সাথে লাশ দাফনের ব্যাবস্থা করেন।তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে কে লাশ দাফনের ব্যাবস্থা করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং স্থানীয় মৃতের স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সন্দেহ ও মতদ্বৈধতা দূরীকরণের জন্য সকলের সাথে বিষয়টি আলোচনা করার নির্দেশ প্রদ;ান করেন।
জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান এর নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেহেন্দিগঞ্জ পিজুস চন্দ্র দে এর তত্ত্বাবধানে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল প্রটোকল মেনে শুক্রবার গভীররাতে মৃতের লাশ দাফন করেন। এসময় দাফন কাজে সহযোগীতা করেন শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মোল্লা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বেচ্ছায় মিজানুর রহমান জমাদ্দারের দাফন কাজে অংশগ্রহণকারী টিমের সদস্যরা হলেন এইচ এম আল-আমীন, মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, এইচ এম রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও মোহাম্মদ জামাল মাঝি। অন্যদিকে মেহেন্দিগঞ্জ হাসপাতাল লাশের গোসলসহ সার্বিক বিষয়ে টিমের সদস্যদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ, পিপিই ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রশাসন।