বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউপির কোদালিয়া গ্রামে সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে হত্যার পর কচুরিপানার নীচে মরদেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। নিহত হামিম কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছালাম কবিরাজের ছেলে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে জাকিয়া বেগম নামে এক নারীকে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের চাচা বশার ও ফুফু শিউলি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১টার পর থেকে তাদের ভাইয়ের ছেলে হামিমের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে তার খোঁজে আশপাশের বেশ কয়েকটি পুকুর ও নদীতেও অনুসন্ধান চালানো হয়। না পেয়ে হামিমের খেলার সঙ্গী পাশের বাড়ির এনায়েত ও জাকিয়া দম্পতির ৪ বছরের ছেলেকে জিজ্ঞেস করা হয়।
সে জানায়, হামিমকে তার মা জাকিয়া মারধর করে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রেখেছে। ওই শিশুর দেয়া তথ্যানুযায়ী সেই পুকুরে সন্ধান চালিয়ে বিকেলে সাড়ে ৩ বছরের হামিমের মরদেহ কচুরিপানার নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে জাকিয়াকে আটক করা হয়।
নিহত হামিমের ফুফু শিউলি জানান, জাকিয়ার ছেলে তার ছোট ভাই ছালামের সন্তানের সঙ্গে খেলতে বাড়িতে প্রায়ই আসে। এজন্য জাকিয়া রাগারাগি করে। পরশু ছেলেকে ওর সঙ্গে খেলতে নিষেধ করার পর এ ঘটনা ঘটেলা।
কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, এ ঘটনায় নিহতের দাদা আলতাফ কবিরাজ বাদী হয়ে জাকিয়াকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় জাকিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।