করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর ডক্টরস্ এসোসিয়েশন। এবারে এ সংগঠনটির নিজস্ব অথ্যায়নে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাস্ক পূণঃব্যবহারের সুবিধাথে স্থাপন করেছে ইউভি স্টেরিলাইজার মেশিন।
মেশিনটি ইতো মধ্যে চালু করা হয়েছে। ফলে একটি মাস্ক একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। এতে করে অপচয়রোধ সম্ভব হয়েছে। এদিকে রমজানের শুরুতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকা হাসপাতালের ইন্টার্নী ডক্টর ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতারী বিতরণ করেছে এই সংগঠনটি।
পাশাপাশি করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মি ও রোগীদের স্বজনের মাঝেও ইফতারী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে ডা. সৌরভ সুতার ও নূরন্নবী তুহিনের নেতৃত্বাধীন আউটডোর ডক্টরস্ এসোসিয়েশন। বরিশালে করোনাভাইরাস প্রবেশের পর থেকে সংগঠনটির সেবামূলক এই সকল কর্মকান্ডে সহযোগীতার জন্য নেতৃবৃন্দ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ বাকির হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সূত্র মতে, বরিশালসহ দেশে উন্নতমানর এন-৯৫ মাস্ক’র সল্পতা ও দামের উপর বিবেচনা করায় এ সকল মাস্ক একাধিকবার ব্যবহার করা সুরহৃ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে একটি ইউভি স্টেরিলাইজার মেশিনের প্রয়োজনিয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে আউটডোর ডক্টরস্ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহৃত মাস্ক পুনঃব্যবহারের সুবিধার্থে একটি ইউভি স্টেরিলাইজার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালের ২য় তলায় ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে ( ব্লাড ব্যাংক) স্থাপন করা হয়েছে এই মেশিনটি।
আজ বুধবার মেশিনটি চালু করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আউটডোর ডক্টরস্ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী তুহিন। তিনি বলেন, এই মেশিনের সাহায্যে একটি মাস্ক স্টেরিলাইজ করে (জীবাণুমুক্ত) একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। ইতো মধ্যে যে সকল মাস্ক ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো আবারও স্টেরিলাইজ করার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই মেশিনের সুবিধা ভোগ করবেন।
পর্যায় ক্রমে এটি জনসাধরনের সুবিধায় ব্যবহার করা হবে। তিনি মেশিনটি স্থাপনে সহযোগীতা করার জন্য তাদের সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ বাকির হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ১ম রমজানে আউটডোর ডক্টরস্ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কেয়ারন্টাইনে থাকা হাসপাতালের দেরশতাধীন ইন্টার্নী ডাক্তার ও কলেজের আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী এবং করোনা সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করেছেন। এছাড়া এই সংগঠনের উদ্যোগে হাসপাতালের করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ এবং রোগীর স্বজনদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভাপতি ডা. সৌরভ সুতার।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আউটডোর ডক্টরস্ এসোসিয়েশন শুরু থেকেই সচেতনামূলক কাজ করেছে। করোনা আক্রান্ত ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সবক্ষনিক মেডিকেল (মোবাইল) টিম চালু রেখেছে। মেডিকেল টিমের মোবাইল নম্বর সমুহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে নিয়োমিত প্রচার করা হচ্ছে। এরপাশাপাশি খাবার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অব্যহত রেখেছে। সংগঠনের এই সকল মানবতা ও সমাজসেবা মূলক কার্যক্রম নিজস্ব অথ্যায়নে সম্পূন্ন হচ্ছে।