সড়কে লকডাউন, ভেতরে দলবেঁধে আড্ডা

অবশ্যই পরুন

বরগুনা শহর এবং আশাপাশের বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাজারের প্রবেশমুখে গাছ ফেলে অবরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও বাঁশ বেঁধে লকডাউন, প্রবেশ নিষেধ লেখা ঝুলিয়েছে স্থানীয়রা। এসব কারণে অনুমোদিত পরিবহনগুলোও চলাচলে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে কেউ চলাচল করতে পারছে না। এছাড়াও পথচারী ও যানবাহন চালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে। তবে সামনের রাস্তা বন্ধ করে অবরোধকারীদের ভেতরে দোকানে দলবেঁধে আড্ডা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বরগুনার চরকলোনীর পেছনের সড়কে বাঁশ বেঁধে এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে এলাকাবাসী। তবে ওই এলাকার ভেতরের সড়কে একাধিক ব্যক্তির আড্ডা দেখা গেছে। এ ছাড়াও বরইতলা-বরগুনা সড়কের পোটখালীর মোড়, নলীর মোড়, বরইতলা মুক্তিযোদ্ধা বাজার, পরীরখাল ও নলী বাজার, বাঁশবুনিয়া বাজারের প্রবেশ মুখের সড়কের উভয় পাশে গাছের গুড়ি ফেলে লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনের নামে ওইসব বাজারের ভেতরে নিশ্চিন্তে জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার অভিযোগ করেছে অনেকে। বরইতলা ও নলী বাজারে লকডাউনস্থলে স্থানীয় গ্রামপুলিশকে পাহারা দিতে দেখা যায়।

গ্রামপুলিশসহ লকডাউনের আয়োজকরা পথচারী ও পরিবহন চালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ব্যক্তি জানান, লকডাউনের নামে জরুরি পরিষেবাদানকারী পরিবহনগুলোর চালকদের বাধা দিয়ে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও খাদ্য সহায়তা দিতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হয়েছে অনেক পরিবহন। অভিযোগ উঠেছে, নলকূপের পানি আনার ক্ষেত্রেও বাধা দিচ্ছেন লকডাউন ঘোষণাকারীরা।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, ব্যক্তিগতভাবে কাউকেই লকডাউনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক নির্দেশনা ছাড়া কেউ লকডাউন করতে পারবে না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের লকডাউনের নামে সড়ক অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

বাকেরগঞ্জে জমি দখল করে পুলিশ সদস্যর ভবন নির্মাণ,বাঁধা দেয়ায় মালিককে পিটিয়ে আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাংলা বাজার এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল করে এক পুলিশ সদস্য ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন।এতে জমির...