সারা দেশেই আজ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।
শুক্রবার (১ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস এসব তথ্য জানায়।
আবহাওয়ার পূর্বাভোসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণসহ বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ স্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও বলছে, বিদ্যমান বৃষ্টির প্রবণতা আগামী ৪ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ের মধ্যেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব দেশে পড়তে শুরু করতে পারে বলে জানাচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
তারা আম্ফান সংক্রান্ত বিশেষ বার্তায় জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জের নিকটবর্তী এলাকায় বৃহস্পতিবারের দিকে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে তা হয়নি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নচাপটি প্রথমে উত্তর-পশ্চিম ও পরবর্তীতে আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জের দূরবর্তী সমান্তরাল অবস্থানে উত্তর-পূর্ব দিক ধাবিত হয়ে ৩ থেকে ৪ মেতে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে মিয়ানমার উপকূল অভিমুখে (কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিকটবর্তী) অগ্রসর হতে পারে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় (চট্টগ্রামও বরিশাল বিভাগে) ৪ থেকে ৭ মে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতায় জোয়ার সংঘটিত হতে পারে।