More

    কালকিনিতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ

    অবশ্যই পরুন

    মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সমিতির হাট আবা খালেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে পুনরায় এ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন পদবঞ্চিতরা। আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিন ও পদবঞ্চিতদের প্রার্থীদের অভিযোগ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
    লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা ও একাডেমী সুপার ভাইজার স্বপ্না আক্তার প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আবা খালেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন।
    নিয়মনুযায়ী সে তফসিল  অনুসারে গত ০৮/০১/২৩ ইং তারিখ থেকে ১০/০১/২৩ইং তারিখ পর্যন্ত  সকল পদের মনোনয়নপত্র বিতরন ও গ্রহন কার্যাক্রম নিধারন করা হয়। গত ১১/০১/২৩ইং তারিখে সকল পদের মনোনয়নপত্র বাছাই, গত ১২/০১/২৩ইং তারিখ সকল পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও আগামী ২৩/০১/২৩ইং তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
    কিন্তু ওই তফসিলে দেয়া নিয়ম ভঙ্গ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা ও একাডেমী সুপার ভাইজার স্বপ্না আক্তার আবা খালেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হঠাৎ তরিঘরি করে গত ১৭/০১/২৩ইং তারিখে বিদ্যালয় হলরুমে বসে সম্পন্ন করেন। এতে সভাপতি পদে মেজর (অবঃ)রেজাউল করিম নির্বাচিত হন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা সৃষ্ঠি হয়েছে।
    ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী পুলিন সরদার জানান, নির্বাচনের তফসিল অনুসারে এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৩ তারিখ। কিন্তু নির্বাচনে দায়িত্বরত ইউএনও স্যার ও সুপার ভাইজার স্বপ্না আক্তার আমাকে না জানিয়ে হঠাৎ করে ১৭ তারিখ নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। আমি খবর পেয়ে নির্বাচনস্থলে গেলে আমাকে হুমকি-ধামকি ও মারধরের ভয় দেখিয়ে প্রতিপক্ষ রেজাউল করিমের লোকজন আমাকে সরিয়ে দিয়ে ফাকা মাঠে নির্বাচন করে সভাপতি হয়েছে। এখন ইউএনও আমাকে বলতেছে যে, ৮ জন সদস্যই আগেই নাকি গোপনে একজনকে প্রস্তাব দিয়ে বানিয়ে দিয়েছে। এরকম হলে এ নির্বাচন নাটকের কি দরকার ছিল। আসলে কারা কিভাবে প্রস্তাবের মাধ্যমে দিল কিছুই বুঝ
    লাম না। আমি প্রশাসনের কাছে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি। কারন এ নির্বাচন অনিয়মের মাধ্যমে হয়েছে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৩ তারিখ। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে ১৭ তারিখে তরিঘরি করে করা হয়েছে। আসলে এ নির্বাচন নিয়ে অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।
    অবসরপ্রাপ্ত মেজর রেজাউল করিম জানান, আমি বৈধভাবেই নির্বাচিত হয়েছি। কোন অনিয়ম হয়নি।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, ম্যানেজিং কমিটির ৮জন সদস্যই গোপনে একজনের নাম প্রস্তাব করায় এবং সকলের সমন্বয়ে আগেই প্রার্থী সিলেক্ট হয়ে যাওয়া ১৭ তারিখ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে গেছে। সে কারনে ২৩ তারিখ নির্বাচন করা লোগেনি।
     বরিশাল ডট নিউজ/ স্ব/খ 

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...