সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় শীর্ষ দল ফরচুন বরিশাল ও তলানিতে দুই নম্বরে থাকা ঢাকা ডমিনেটর্স। জিতলেই প্লেঅফ প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে বরিশালের। অন্যদিকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ঢাকার শেষ সম্ভাবনাটুকুও শেষ হয়ে যাবে হারলেই।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরিশাল।
সবশেষ ৫ ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছে সাকিবের বরিশাল। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে সেই হারের পরের ম্যাচেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে চায় বরিশাল। ১০ ম্যাচের ৮টিতেই জয় পাওয়া মাশরাফীর সিলেটের পরই আছে তারা। অবশ্য সাকিবের দল ম্যাচ খেলেছে দুটি কম। এদিন জয় পেলে কমবে ব্যবধান। সুযোগ বাড়বে সিলেটকে ধরে ফেলার।
বরিশালের শক্তির জায়গা তাদের ব্যাটিং। বল হাতে সময় ভালো না কাটলেও ব্যাট হাতে মাঠ কাঁপাচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব। ৮ ম্যাচে ৬১.২০ গড়ে আর ১৮৬.৫৯ স্ট্রাইক রেটে ৩০৬ রান নিয়ে রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিন নম্বরে আছেন তিনি। ছন্দে আছেন দলের পাকিস্তানি রিক্রুট ইফতেখার আহমেদও। ৮ ম্যাচে ৭১.৫০ গড়ে ও ১৬৪.৩৭ স্ট্রাইকরেটে ২৮৬ রান করেছেন তিনি।
ঢাকার হয়ে এবার আলো ছড়িয়েছেন তাদের অধিনায়ক নাসির হোসেন। এক সময়ের ফিনিশার তকমা পাওয়া এই অলরাউন্ডার এবার ব্যাটে-বলে সমান উজ্জ্বল, কিন্তু তার দলের অবস্থা তথৈবচ। ৯ ম্যাচে ৩ নম্বরে ব্যাট করে ৫৩.৩৩ গড়ে ৩২০ রান নিয়ে রান সংগ্রাহকের তালিকার দুইয়ে আছেন নাসির। তবে স্ট্রাইকরেটটা কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে তার পারফরম্যান্সকে। ১২৬.৪৮ স্ট্রাইকরেট টি-টোয়েন্টির চাহিদা কতটুকু মেটাতে পারে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
ফরচুন বরিশালের একাদশ: এনামুল হক বিজয় (উইকেটকিপার), সাইফ হাসান, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইফতেখার আহমেদ, ইবরাহিম জাদরান, সালমান হোসেন, করিম জানাত, মোহাম্মদ ওয়াসিম, খালেদ আহমেদ ও সানজামুল ইসলাম।