More

    ঝালকাঠিতে সূর্যমুখী চাষের উপর মাঠ দিবস

    অবশ্যই পরুন

    ঝালকাঠি প্রতিবেদক: ঝালকাঠিতে রবি মৌসুমে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি
    প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস এবং সরকারের অনাবাদি আবাদের
    আওতায় এনে তেল ও ডাল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক মঙ্গলবার বিকেলে
    মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নে মাঠ দিবস
    ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম প্রধান

    অতিথি ছিলেন। ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-
    পরিচালক মো: মনিরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা কৃষি
    অফিসার আলী আহম্মদ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে
    উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার উপজেলা
    নির্বাহী অফিসার সাবেকুন নাহার, কৃষি সম্প্রসারণ
    অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্যান) মো: রিয়াজ উল্লাহ
    বাহাদুর, গাবধান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ
    চেয়ারম্যান মো: আবুল কালাম মাসুম ও সূর্যমুখী চাষাবাদকারী
    কৃষক দুলাল হাওলাদার।
    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা
    ইনস্টিটিউট, রহমতপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক
    কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, বীজ প্রত্যয়ন অফিসার,
    বিএডিসি ও জেলা কৃষি বিপণন এর কর্মকর্তাবৃন্দ, সহকারী
    কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ,
    ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যবৃন্দ ও দেড় শতাধিক কৃষক-কৃষাণী। মাঠ
    দিবসের পূর্বে জেলা প্রশাসক অতিথিদের নিয়ে ১০ একর
    সূর্যমুখী প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন ।
    প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক ফারাহ্ধসঢ়;্ধসঢ়; গুল নিঝুম
    বলেন, আমাদের জাতির পিতা কৃষি পেশাকে সস্মানিত পেশা বলে
    আখ্যায়িত করেছেন এবং কৃষকদের সম্মানিত করেছেন। বর্তমান
    কৃষি বান্ধব সরকার বঙ্গবন্ধুর কাঙ্খিত সোনার বাংলা গড়তে
    বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন এক
    ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না এবং তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির
    মাধ্যমে কৃষি বান্ধব সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে
    কোন সহযোগিতা করতে কৃষকদের পাশে প্রশাসন থাকবেন।
    তিনি বিশেষ করে উপস্থিত মহিলা কৃষকদের কে বসতবাড়ির

    আঙিনায় সবজি চাষ ও ফলদ গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি
    সতর্ক করে বলেন কোন জমি ৩-১০ বছর একনাগাড়ে অনাবাদি
    রাখলে তা খাস জমি হিসেবে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহন করতে
    পারবে এবং এই আইন কৃষকদের জানানোর মাধ্যমে অনাবাদি
    জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য কৃষকদের অনুরোধ করেন।
    কৃষক মো: দুলাল হাওলাদার বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের
    সহোযোগিতায় কৃষকরা এখন তেল ফসল চাষে আগের চেয়ে অনেক
    আগ্রহী। আমি গত বছর ২০ শতক জমিতে তেল ফসল আবাদ
    করেছিলাম কিন্তু এ বছর ১ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি।
    আমরা এখন নিজেরা সূর্যমুখী তেল খাচ্ছি। এ বছর ফসলের অবস্থা
    দেখে মনে হচ্ছে গত বছরের তুলনায় আর্থিভাবে লাভবান হবো।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ০ রান বাংলাদেশের

    যতটা সম্ভব বাজেভাবে ম্যাচ শুরু করা সম্ভব, করেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান...