More

    বরগুনার পুড়ে যাওয়া দোকানেও ৫৫ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল

    অবশ্যই পরুন

    চলতি বছরের ১৩ মার্চ বরগুনার পাথরঘাটার নতুন বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান পুড়ে যায়। এতে মালামালের সঙ্গে পুড়ে যায় বিদ্যুতের লাইনসহ মিটার। সেই থেকে দোকানগুলোতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন। অথচ প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দিয়ে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সাধারণ গ্রাহকেরাও ভুতুড়ে বিল ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

    পুড়ে যাওয়া দোকানমালিক সোহাগ সিকদার বলেন, ‘প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের কয়েকবার বলেছি, আমার মিটার চালু নেই। এরপরও বিষয়টি আমলে না নিয়ে চার মাস ধরে বিলের কাগজ দিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।’

    সোহাগ আরও বলেন, ‘প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসছে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে। জুনে আমার খরচ দেখানো হয়েছে ৫৫ ইউনিট। সেখানে বিল দেখানো হয়েছে ৭৫৩ টাকা। যে দোকানে সংযোগই নেই, সেখানে এত ইউনিট খরচ হলো কীভাবে?’

    পুড়ে যাওয়া আরেক দোকানের মালিক সঞ্জীব বলেন, ‘আগুনে মিটার পুড়ে যাওয়ার পর পল্লী বিদ্যুতের লোকজন মিটার খুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো আমার নামে বিলের কাগজ আসছে। পল্লী বিদ্যুতের এমন ভুতুড়ে বিল নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

    পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আল মামুন জানান, আগে প্রতি মাসে তাঁর ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল আসত। হঠাৎ করে মে মাসে তা উঠিয়ে দেয় প্রায় ৪ হাজার টাকা। আবার জুন মাসে এসেছে প্রায় ৫ হাজার টাকা।

    গ্রাহকেরা জানান, দুটি ফ্যান ও দুটি লাইট জ্বালিয়ে যেখানে ৯২ থেকে ১৫০ টাকা বিল দিতে হতো, সেখানে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ৫০০ টাকার নিচে বিল হচ্ছে না। পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে এর কারণ জানতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।



    পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুস সালাম বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে গ্রাহকদের সেবা দিতে বিঘ্ন হচ্ছে। যদি মিটারের সঙ্গে বিল কাগজের মিল না থাকে, তাহলে ছবি তুলে অফিসে নিয়ে এলে ঠিক করে দেওয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ইতিহাসে প্রথম একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট

    আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২০২৬ সালের...